ভূমধ্যসাগরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কয়েকদিনে সাতশ জনের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে। লিবিয়ার উপকূল থেকে সাগর পাড়ি দিয়ে এসব অভিবাসনপ্রত্যাশী ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন।
বেসরকারি সংস্থা ডক্টর্স উইদাউট বর্ডার্স পরিচালিত জাহাজ ‘গেও বারেন্টস’ এবং ইতালির ‘মারে ইয়োনিও’ তাদের উদ্ধার করে।
এক টুইট বার্তায় ডক্টর্স উইদাউট বর্ডার্স জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে ভূমধ্যসাগরে উদ্ধারকাজে নিয়োজিত তাদের জাহাজ গেও বারেন্টস একটি ছোট নৌকা থেকে ৬৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে। উদ্ধারদের অনেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।
এদিকে শুক্রবার আরেক অভিযানে সংস্থাটি ১২ জন শিশুসহ ৭৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে। এছাড়া বৃহস্পতিবার পরিচালিত আলাদা আলাদা অভিযানে প্রায় তিনশজন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ভূমধ্যসাগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারদের মধ্যে দুজন শিশুও আছে বলে। ছোট ছোট নৌকায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় তারা প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় সারারাত সমুদ্রে ভাসছিলেন। নৌকায় থাকা অনেকেই হাইপোথার্মিয়ায় ভুগছিলেন বলে জানা গেছে।
সংস্থাটি জানায়, তাদের জাহাজটিতে এই মুহূর্তে ৪৩৯ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী রয়েছেন। এদিকে মেডিটারিয়ান সেভিং হিউম্যানস নামে ইতালির বেসরকারি সংস্থার পরিচালিত জাহাজ মারে ইয়োনিও গত কয়েকদিনে দুইশ আট জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ভূমধ্যসাগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে।
শুক্রবার সকালে সাগরে পরিচালিত এক অভিযানে নৌকায় বিপদাপণ্ন অবস্থায় ভাসতে থাকা মোট একশ সাত জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করে জাহাজটি। উদ্ধারদের মধ্যে ১৪ জন নারী রয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতে ভূমধ্যসাগরের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় চার ঘণ্টার একটি উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে তারা একশজন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করে।
সংস্থাটি জানায়, উদ্ধারকৃত এ অভিবাসনপ্রত্যাশীরা কাঠের নৌকায় করে সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী নৌকাটি প্রায় ডুবে যাচ্ছিল।
সূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্টস