চার ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জন্য শোকাবহ দিন। ২০১১ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়ে ঢাকায় ফেরার পথে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিবে যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সংগঠন অন্ত:প্রাণ ১১ ছাত্রনেতাসহ ১২ জনের জীবন প্রদীপ। বেঁচে থাকলে আজ কেউ হতেন দেশের নামকরা চিকিৎসক, কেউ প্রকৌশলী, ডাকসাইটে সরকারি কর্মকর্তা। কারো কারো অন্য পেশায় অবস্থান হতো সুনামের সিঁড়িতে। মেধার সঙ্গে সততা, দেশপ্রেমের সঙ্গে রাজনৈতিক আদর্শের সমন্বয়ে তারা দেশ, দশের সেবা করতেন। অথচ সময়ের শৃঙ্খল ভেঙে তারা চলে গেলেন আকাশের ওপারের জীবনে।
সেদিন সড়ক সন্ত্রাসে যারা নিহত হয়েছিলেন, আমার কাছে তাদের হারানোর বেদনা অত্যন্ত কষ্ট দায়ক। কেননা তারা সবাই ছিল আমার সফর সঙ্গী। অত্যন্ত মেধাবী ও ভালো মানুষ হিসেবে সমাজে তারা ছির সুপরিচিত। মেধাবীে এই ছাত্রনেতারা একটি সুন্দর দেশের স্বপ্ন দেখতো। কাজেই জাতির মেধাবী সন্তান, প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ রাজনৈতিক নেতাকর্মীদেরকে হারানোর ক্ষতি চিরদিন অপূরনীয় হয়ে থাকবে। পাশাপাশি এই দিবসটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইতিহাসে শোকার্ত অক্ষরে লেখা রবে চিরকাল।