মালয়েশিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন খায়রুজ্জামান!

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

খায়রুজ্জামান
সংগৃহীত ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের ‘গ্রিন কার্ড’ আবেদনই মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তারের পর ছাড়া পাওয়া জেলহত্যা মামলার আসামি খায়রুজ্জামানের জন্য ‘শাপে বর’ হয়েছে। খায়রুজ্জামান এখন দ্রুতই যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাবেন বলে ইঙ্গিত মিলেছে।

সংশ্নিষ্ট একটি কূটনৈতিক সূত্র জানায়, মালয়েশিয়ায় জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার ‘শরণার্থী কার্ড’ নিয়ে অবস্থান করা খায়রুজ্জামানের আইনজীবীরা মালয়েশিয়ার আদালতে বার বার খায়রুজ্জামানকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘গ্রিন কার্ড’-এর জন্য আবেদনের কথা উল্লেখ করেছেন। তাকে দ্রুত যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার অনুমতি দিতে তারা আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। মুক্তি পাওয়ার পর খায়রুজ্জামান নিজেও মালয়েশিয়ার এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি যত দ্রুত সম্ভব যুক্তরাষ্ট্রে যেতে চান, সেখানে তার স্ত্রী রয়েছেন।

সূত্র জানায়, খায়রুজ্জামান ভিসা নবায়ন করে এতদিন মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছিলেন। এই বছর তার ভিসা নবায়নের আবেদন মঞ্জুর করেনি মালয়েশিয়া সরকার। ফলে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণেই অভিবাসন আইনে মালয়েশিয়ায় তার অবস্থান অবৈধ হয়ে পড়ে। এরপরই গত ৯ ফেব্রুয়ারি তাকে গ্রেপ্তার করে মালয়েশিয়া পুলিশ। পরে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য অভিবাসন দপ্তরের ডিটেনশন সেন্টারে অন্তরীণ রাখে।

খায়রুজ্জামান গ্রেপ্তার হওয়ার পরপরই তৎপর হয়ে ওঠেন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা তার স্ত্রী রিটা রহমান। তিনি সে সময় মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যমকে জানান, তার বড় সন্তানের সঙ্গে খায়রুজ্জামানের জন্যও যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ডের আবেদন করা হয়েছে। মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা ছাড়পত্র না দেওয়ার কারণে গ্রিন কার্ডের আবেদন প্রক্রিয়াও শেষ করা যাচ্ছে না। এই নিরাপত্তা ছাড়পত্র পেলেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ডধারী হতে পারবেন।

সূত্র জানায়, মালয়েশিয়ার আদালতে আইনজীবী একাধিকবার খায়রুজ্জামানের যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন এবং মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা ছাড়পত্র না পাওয়ার কারণে আবেদন ঝুলে থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেন। আদালত গ্রিন কার্ডের আবেদন-সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত চাইলে তাও সরবরাহ করেন খায়রুজ্জামানের আইনজীবী। এরপর আদালত এই নিরাপত্তা ছাড়পত্র না দেওয়ার বিষয়েও রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির কাছে জানতে চান।

সূত্র জানায়, এখন খায়রুজ্জামানের যুক্তরাষ্ট্র পাড়ি দেওয়ার পথ সুগম হচ্ছে বলেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। আদালতের নির্দেশে মুক্তি পাওয়ার পর খায়রুজ্জামানও বেশ জোর দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা বলেছেন।

বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের অন্যতম এবং আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডের সাজা পাওয়া রাশেদ চৌধুরীও বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে অবস্থান করছেন।

শেয়ার করুন