যুক্তরাজ্য ও মিত্ররা ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার জবাব অবশ্যই দেবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকালে ইউক্রেনে রুশ হামলার ঘোষণা আসার পর বরিস জনসন টুইটারে লিখেছেন- ইউক্রেনে ভয়ঙ্কর যে ঘটনা ঘটল তার জন্য তিনি আতঙ্কিত।
বিনা প্ররোচনায় এ হামলার মাধ্যমে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রক্তপাত ও ধ্বংসের পথ বেছে নিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বরিস জনসন আরও লিখেছেন- এখন কী করা যায় তা নিয়ে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সাথে কথা বলেছেন এবং তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে যুক্তরাজ্য ও মিত্ররা অবশ্যই এর জবাব দেবে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার বেপরোয়া হামলার নিন্দা জানিয়েছেন ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গও। একইসঙ্গে তিনি এও বলেছেন, এটা আইন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন।
টুইটারে তিনি লিখেছেন- অসংখ্য বেসামরিক মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। এটা আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন এবং ইউরো-আটলান্টিকের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
রাশিয়ার নতুন এই আগ্রাসনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ন্যাটো মিত্ররা বসবে বলেও জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রুসও হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। টুইটারে তিনি লিখেছেন- বিনা প্ররোচনায় ইউক্রেনের মানুষের ওপর ভয়ঙ্কর যে হামলা প্রেসিডেন্ট পুতিন শুরু করলেন তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
যুক্তরাজ্য ইউক্রেনের সাথে আছে উল্লেখ করে তিনি আরও লেখেন, ভয়ঙ্কর এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মিত্রদের নিয়ে যৌথভাবে জবাব দেবে যুক্তরাজ্য।
ইউক্রেন ইস্যুতে হুমকি-পাল্টা হুমকি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত ছিল বিশ্ব রাজনীতি। এরমধ্যেই আজ সকালে ইউক্রেনে হামলার ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এ ঘোষণা আসার পরপরই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিস্ফোরণের খবর আসতে থাকে।
এদিকে এরইমধ্যে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের সামরিক সদর দপ্তরে মিসাইল হামলার ঘটনা ঘটেছে। একইভাবে হামলার ঘটনা ঘটেছে দেশটির সামরিক বাহিনীর মিসাইল কমান্ড সেন্টারগুলোতেও।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ইউক্রেনের অনেক অবকাঠামো এবং সীমান্তরক্ষীদের ওপর মিসাইল হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। এমনকি দেশটির রাজধানী কিয়েভেও দফায় দফায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।