প্রবল আন্তর্জাতিক চাপের মুখে বুধবার ইউক্রেনের সঙ্গে আবার আলোচনার টেবিলে বসছে রাশিয়া। কিন্তু সামরিক আগ্রাসন কমানোর কোনো লক্ষণ দেখাচ্ছেন না। সোমবারের আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বুধবার দ্বিতীয়বার বৈঠকে বসতে চলেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। খবর রয়টার্সের।
কিন্তু এ আলোচনায় বসার আগে রাশিয়ার কাছে ইউক্রেনে নির্বিচারে বিমান হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন জেলেনস্কি। রয়টার্স ও সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
বেলারুশ সীমান্তে গত সোমবারের বৈঠকে কোনো সমাধান বেরোয়নি। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছিলেন, ওই বৈঠকের বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে জানানো হয়েছে।
বৈঠকের বিষয়বস্তু পর্যালোচনা করা হচ্ছে। কিন্তু এখনই তা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসার সময় হয়নি।
কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রবল আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পুতিন আলোচনার টেবিলে আসার বার্তা দিচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু সামরিক আগ্রাসন কমানোর কোনো লক্ষণ দেখাচ্ছেন না।
ভ্যাকিউম বোমা, ক্লাস্টার বোমার মতো গণবিধ্বংসী অস্ত্রের ব্যবহার, ইউক্রেনের সাধারণ মানুষকে ক্ষেপণাস্ত্রের নিশানা বানানোর মতো অভিযোগ ক্রমাগতই উঠছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হানায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহত অন্তত ৩৫ জন।
শহরের প্রাণকেন্দ্র ফ্রিডম স্কোয়ারে স্থানীয় প্রশাসনের দপ্তরগুলোতেই আছড়ে পড়ে ক্ষেপণাস্ত্র। এলাকার একটি অপেরা হাউসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খারকিভের আবাসিক এলাকাতেও রাশিয়ার হামলায় আরও বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তিন দিক থেকে ইউক্রেনকে ঘির ফেলেছে রাশিয়া।
একটি মার্কিন সংস্থার উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের দিকে এগোচ্ছে রুশ সেনার প্রায় ৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এক কনভয়। সাঁজোয়া গাড়ি থেকে কামান— সবই রয়েছে তাতে।
ইউক্রেন সরকার জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ১৪ শিশুসহ অন্তত ৩৫২ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে রাশিয়ার হামলায়।