টেকসই উন্নয়নে নারীর অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে হবে

সম্পাদকীয়

নারী
সংগৃহীত ছবি

আজ ৮ মার্চ। আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারী অধিকার রক্ষায় বিশ্বব্যাপী সমতাভিত্তিক সমাজ-রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে প্রতিবছর এই দিনে দিবসটি উদযাপন করা হয়। জাতিসংঘ ২০২২ সালের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘নারীর সুস্বাস্থ্য ও জাগরণ’। জাতিসংঘের এই মূল প্রতিপাদ্যের আলোকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবছর আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে- ‘টেকসই আগামীর জন্য, জেন্ডার সমতাই আজ অগ্রগণ্য’।

সব কুসংস্কার ভেঙে নারীরা এখন সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, অর্থনীতি, রাজনীতি এবং চাকরিতেও বাড়ছে সক্রিয় অংশগ্রহণ। এমনকি সামরিক বাহিনী এবং সাংবাদিকতার মতো চ্যালেঞ্জিং পেশায়ও বাড়ছে তাদের উপস্থিতি। তবে নারীর অগ্রযাত্রায় রয়েছে বিশাল চ্যালেঞ্জও। অনেক জায়গায়ই এখনো নারীর কাজের মতো উপযুক্ত পরিবেশ নেই। অর্থনীতিতে নারীর অবদানের স্বীকৃতিও মিলছে না। ধর্ষণ এবং হত্যার মতো ঘটনা ঘটছে। আগের তুলনায় নির্যাতনের ক্ষেত্রে সচেতনতা বাড়লেও বন্ধ হয়নি। যৌতুকের প্রবণতা কমলেও সহনীয় মাত্রায় আসেনি। এসব চ্যালেঞ্জ নিয়েই আজ পালিত হচ্ছে বিশ্বনারী দিবস।

আমরা মনে করি, আমাদের রাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ নারীকে বাদ দিয়ে কোনোভাবেই টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই এক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে সর্বক্ষেত্রে নারীর অবদান সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। অর্থনীতিতে অবদান বাড়ানোর জন্য কর্মক্ষেত্রে নারীর জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণেরও সুযোগ বাড়াতে হবে।

শেয়ার করুন