আগামী ১৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু ও এক্সপ্রেসওয়ের চলমান কাজের উদ্বোধন ও অগ্রগতি পরিদর্শন করবেন।একই সঙ্গে পদ্মা রেল সংযোগের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও মাওয়া প্রাঙ্গণে ১ হাজার ৩০০ মিটার নদীরক্ষা কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় তিনি আরও জানান, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্দিষ্ট সময়ে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হবে না।
মঙ্গলবার সেতু ভবনে পদ্মা সেতু প্রকল্প, এক্সপ্রেসওয়ে, নদীশাসন কাজসংলগ্ন এলাকার স্থায়ী নদীতীর সংরক্ষণ এবং পদ্মা সেতু রেললিংক নির্মাণকাজের প্রস্তুতি-সংক্রান্ত সভা শেষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব তথ্য জানান।
সভা শেষে ওবায়দুল কাদের বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর চলমান কাজের শুভ উদ্বোধন করবেন এবং কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করবেন। এ প্রকল্পের আওতায় মূল সেতুর ৭০ শতাংশ ও সার্বিক অগ্রগতি বর্তমানে ৫৯ শতাংশ রয়েছে। আগামী ১৩ অক্টোবরের মধ্যে অগ্রগতি বেড়ে ৬০ শতাংশে দাঁড়াবে।
নির্দিষ্ট সময়ে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতু ও এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে ২৪ ঘণ্টা কাজ চলছে। কবে শেষ হবে তা দিনক্ষণ এখন বলা যবে না। ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। অক্টোবরের শেষ দিকে প্রকল্পের সর্বশেষ পরিস্থিতি বলা যাবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের ব্যয় আপাতত বাড়ার সম্ভাবনা নেই। পদ্মা সেতু দেশের সম্পদ হয়ে থাকবে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, পদ্মা সেতুর পিলার স্থাপনে কোনো জটিলতা নেই। পৃথিবীতে দুটি নদী আনপ্রেডিকটেবল, এর মধ্যে একটি আমাজন ও অপরটি পদ্মা নদী। সাম্প্রতিককালের অভিমত, আমাজন ছাড়িয়ে পদ্মাই এখন সবচেয়ে আনপ্রেডিকটেবল। আমরা বারবার পিয়ারের ওপরে স্প্যান স্থাপন করতে গিয়ে সময় রাখতে পারিনি। কারণ সয়েল কন্ডিশন এলাউ করেনি। এ কারণে বিলম্বিত হচ্ছে। তারপরও আমি বলব পদ্মা সেতু আজ দৃশ্যমান। সেটাই আমাদের গর্বের বিষয়। এর একক অবদান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তার অসম সাহসের সোনালি ফসল পদ্মা সেতু। বিশ্বব্যাংক সরে যাওয়ার পর আমরা হতাশায় ছিলাম। পদ্মা সেতুর কাজ শুরুর মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী সেই হতাশা দূর করেছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রস্তুতি সভায় রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য নূর-ই আলম চৌধুরী, মৃনাল কান্তি দাস, বাহাউদ্দিন নাছিম, সাগুফতা ইয়াসমিন এ্যামিলি, বিএম মোজাম্মেলসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।