ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত পুরান ঢাকার দুই ভাই এনামুল হক ভূঁইয়া এনু ও রুপন ভূঁইয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে করা অর্থপাচার মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৫ এপ্রিল নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য বুধবার (৬ এপ্রিল) দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন ছুটিতে থাকায় এদিন রায় ঘোষণা হয়নি। পরে আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মনির কামাল রায় ঘোষণার জন্য ২৫ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের স্টেনোগ্রাফার সোহানুর রহমান মত ও পথকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে গত ১৬ মার্চ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের জন্য ৬ এপ্রিল দিন ধার্য রেখেছিলেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ক্যাসিনো খেলা পরিচালনাকারী এনুর কর্মচারী আবুল কালাম আজাদের ওয়ারির লালমোহন সাহা স্ট্রিটের বাড়ি ঘেরাও করে র্যাব। কালামের স্ত্রী ও মেয়ের দেখানো মতে ৪র্থ তলার বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে দুই কোটি টাকা উদ্ধার করে র্যাব। এ ঘটনায় র্যাব-৩ এর পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যান) জিয়াউল হাসান ২৫ নভেম্বর ওয়ারি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, এনু ও রুপন দীর্ঘদিন ক্যাসিনো পরিচালনার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করে আসছেন। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান পরিচালিত হলে তারা নিজেদের অপকর্ম আড়াল করার জন্য অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ গোপন করতে কালামের বাসায় রেখেছিলেন। কালাম সেগুলো নিজের কাছে রাখেন, যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের অপরাধ।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২১ জুলাই ১১ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির পরিদর্শক মোহাম্মদ ছাদেক আলী।
গত বছরের ৫ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- মেরাজুল হক ভূঁইয়া শিপলু, রশিদুল হক ভূঁইয়া, সহিদুল হক ভূঁইয়া, পাভেল রহমান, তুহিন মুন্সি, আবুল কালাম আজাদ, নবীর হোসেন শিকদার ও সাইফুল ইসলাম।
আসামিদের মধ্যে শিপলু, রশিদুল, সহিদুল ও পাভেল মামলার শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন। তুহিন জামিনে আছেন। অপর ৬ আসামি আছেন কারাগারে।