ঈদ সামনে রেখে বরিশাল-ঢাকা নৌপথে চলাচলকারী বেসরকারি লঞ্চগুলোতে আরেক দফা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। ডেকে অতিরিক্ত ৫০ টাকা আর প্রতিটি কেবিনে ২০০ টাকা।
যুক্তি হিসেবে লঞ্চমালিকরা বলেছেন, ঈদের সময় লঞ্চ চালানোয় খরচ হয় বেশি। তা সমন্বয় করতে ভাড়া বাড়াতে হচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে কিছুই জানে না অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
করোনাভাইরাস মহামারির পর এবারের ঈদে বিপুলসংখ্যক মানুষের বাড়ি ফেরার সম্ভাবনাকে সামনে রেখে লঞ্চমালিকরা আবার ভাড়া বাড়ানোয় যাত্রীরা চাপে পড়ছেন।
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ফলে কয়েক মাস আগে সড়কপথের গণপরিবহনের মতো লঞ্চেও ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। গত বছরের ৩ নভেম্বর সরকার ডিজেলের মূল্য বাড়ায় ২৩ শতাংশ। ১৫ টাকা বেড়ে ১ লিটার ডিজেলের দাম দাঁড়ায় ৮০ টাকা।
তখন ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে সারাদেশে বাস চলাচল বন্ধ রাখেন মালিকরা। একই দাবিতে লঞ্চ ধর্মঘট যুক্ত হওয়ায় পরিস্থিতি শোচনীয় হয়ে পড়ে। সংকট নিরসনে সরকার ওই সময় বাসমালিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাসে ২৭ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর ঘোষণা করে।
তখন যাত্রীবাহী নৌযানে ভাড়া বৃদ্ধি করা হয় ৩৬ শতাংশ। কিন্তু লঞ্চমালিকেরা সরকার নির্ধারিত ৩৬ শতাংশ ভাড়ার বদলে সর্বোচ্চ ৪৬ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বৃদ্ধি করেন।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক বছর আগে ঢাকা-বরিশাল নৌপথে ডেকের যাত্রীদের ভাড়া ছিল ২০০ টাকা। বর্ধিত ভাড়ায় তা ৩৫০ করা হলেও ঈদ উপলক্ষে তা দাঁড়িয়েছে ৪০০ টাকা।
প্রথম শ্রেণির এক শয্যার কেবিনের ভাড়া আগে ছিল ৯০০ টাকা। গত নভেম্বরে তা ১ হাজার ২০০ টাকা করা হয়। এখন তা দেড় হাজার করা হয়েছে। দুই শয্যার ডাবল কেবিনের ভাড়া আগে ছিল ১ হাজার ৮০০ টাকা। পরে ২ হাজার ৪০০ টাকা করা হয়। এবার হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ টাকা।
লঞ্চমালিকদের সূত্র জানায়, ঈদ উপলক্ষে ঢাকা-বরিশাল-ঢাকা নৌপথে সরাসরি ও ভায়া পথে অন্তত ২৭টি নৌযানে যাত্রী পরিবহনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। ২৮ এপ্রিল থেকে শুরু হবে ঈদের বিশেষ এই সার্ভিস। নৌযানগুলো ঈদের আগের তিন দিন ও পরের অন্তত চার দিন ডাবল ট্রিপেও যাত্রী পরিবহন করবে।