জাতিসংঘ মহাসচিবের সফরকালেও ইউক্রেনে রকেট হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।ফাইল ছবি

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ গড়িয়েছে তৃতীয় মাসে। সম্প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস ইউক্রেন সফরে যান। বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) জাতিসংঘ প্রধানের ইউক্রেন সফরকালেও দেশটিতে রকেট হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এ ঘটনার পর নিরাপত্তা পরিষদের কঠোর সমালোচনা করেছেন খোদ জাতিসংঘ মহাসচিব।

অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদ ইউক্রেনে যুদ্ধ ঠেকাতে কিংবা বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এটা বিপুল হতাশা, রাগ এবং ক্ষোভের উৎস বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি স্পষ্ট করে বলি, (এটি) যুদ্ধ ঠেকাতে কিংবা বন্ধ করতে নিজেদের ক্ষমতায় থাকা সবকিছু করতে ব্যর্থ হয়েছে।

১৫ সদস্য বিশিষ্ট নিরাপত্তা পরিষদের সুনির্দিষ্ট কাজ হচ্ছে বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর থেকে সমালোচনার মুখোমুখি হচ্ছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।

নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্যের মধ্যে অন্যতম রাশিয়া। ইউক্রেন দ্বন্দ্ব নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে একাধিকবার ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে মস্কো।

এদিকে, বৃহস্পতিবার কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন অ্যান্তনিও গুতেরেস। জেলেনস্কি আগে থেকেই নিরাপত্তা পরিষদের সমালোচনা করে আসছেন।

সংবাদ সম্মেলনে গুতেরেস বলেন, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি আপনাকে এবং ইউক্রেনের জনগণকে বলতে এসেছি, আমরা হাল ছাড়বো না। নিরাপত্তা কাউন্সিল ‘অচল’ হয়ে পড়েছে বলে স্বীকার করে করেন জাতিসংঘ মহাসচিব। ইউক্রেনে জাতিসংঘের এক হাজার চারশ কর্মী, খাবার, অর্থ এবং অন্যান্য সেবা দিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সমালোচনা সত্ত্বেও মঙ্গলবার রাশিয়া সফরে যান জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস। মস্কোতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে জাতিসংঘ প্রধানের বৈঠকও হয়। বৈঠকে মারিওপোলের আজভস্টাল স্টিল প্ল্যান্ট থেকে বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে ‘নীতিগতভাবে’ সম্মত হন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানা এক মাস ধরে উত্তেজনা চলার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায় রাশিয়ার সেনাবাহিনী। দুই পক্ষের লড়াইয়ে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটার পাশাপাশি ইউক্রেন ছেড়েছে প্রায় ৫২ লাখ মানুষ।

শেয়ার করুন