সেন্টমার্টিনের মালিকানা দাবি মিয়ানমারের!

ডেস্ক রিপোর্ট

মিয়ানমার বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের দ্বীপ সেন্টমার্টিনের কিছু অংশ নিজের ভূমি বলে দাবি করেছে। তাদের প্রকাশিত মানচিত্রে এই উদ্ভট দাবি করার পর দেশটির দূতকে ডেকে প্রতিবাদও জানিয়েছে বাংলাদেশ। এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত লুইন উকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়।

জানা গেছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রধান খুরশেদ আলমের দপ্তরে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়। সেখানে সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে মালিকানার দাবির বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে একটি কূটনৈতিক পত্রও দেওয়া হয়।

ব্রিটিশ রাজ থেকে ভারত ও পাকিস্তানের স্বাধীনতার পর সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের সীমানায় ছিল সেন্টমার্টিনও। পরে পাকিস্তান ভেঙে স্বাধীন হওয়ার পর ৮ বর্গকিলোমিটারের এই প্রবাল দ্বীপটি বাংলাদেশের অংশ হয়। এর মালিকানা নিয়ে কখনও কোনো প্রশ্ন ছিল না। তবে মিয়ানমার সরকারের জনসংখ্যা বিষয়ক বিভাগের ওয়েবসাইট সম্প্রতি তাদের দেশের যে মানচিত্র প্রকাশ করেছে, তাতে সেন্টমার্টিন দ্বীপপুঞ্জকে তাদের ভূখণ্ডের অংশ দেখানো হয়েছে।

ওই মানচিত্রে মিয়ানমারের মূল ভূখণ্ড এবং বঙ্গোসাগরে বাংলাদেশের অন্তর্গত সেইন্ট মার্টিন দ্বীপকে একই রঙে চিহ্নিত করা হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশের ভূভাগ চিহ্নিত করা হয় অন্য রঙে। তবে এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেয়নি।

বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইলেও মিয়ানমার সম্প্রতি উস্কানিমূলক আচরণ করছে। দেশটি তার রাজ্য রাখাইনে বসবাসকারী রোহিঙ্গা মুসলমানদেরকে বাঙালি আখ্যা দিয়ে তাড়াতে চায়। আর সেনা অভিযানের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে চুক্তি করেও নানা টালবাহানা করছে। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বাংলাদেশ যুদ্ধ চায় না, তবে ধৈর্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে