দেশের আধুনিক চিত্রকলার বিকাশে প্রাণপুরুষ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের আজ ২৮ মে, শনিবার ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৬ সালের এই দিনে বিশ্ববরেণ্য এই শিল্পী ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বাঙালির শিল্পকলার ঐতিহ্য নির্মাণ ও আধুনিক চিত্রকলার পথিকৃৎ ব্যক্তিত্ব।
জয়নুল আবেদিনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, শিল্পাচার্যের শিল্পকর্ম আগামী প্রজন্মকে সৃজনশীল কাজে নিরন্তর অনুপ্রেরণা যোগাবে। শিল্পাঙ্গনে তাঁর অনবদ্য অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
আজ সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিল্পাচার্যের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন চারুকলা অনুষদের শিক্ষকসহ বিভিন্ন শিল্পী সংগঠন।
জয়নুলের ১৯৪৮ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে গড়ে তুলছিলেন চারুকলা ইন্সটিটিউট। তিনি ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ। সে সময় তাঁর যুগান্তকারী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব চিত্রকলায় এক অনন্য অবস্থান তৈরি করতে পেরেছে।
শিল্পাচার্যের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯৭৫ সালে ঐতিহাসিক সোনারগাঁয়ে লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
১৯১৪ সালে ময়মনসিংহে জয়নুলের জন্ম। গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা, দুর্দশা, কষ্ট ও সংগ্রামই ছিল তাঁর চিত্রকর্মের প্রধান উপজীব্য। তিনি এঁকেছেন ১৯৪৩ সালের ‘দুর্ভিক্ষের রেখাচিত্র’, ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে ‘নবান্ন’, ১৯৭০ সালে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে লাখো উপকূলবাসীর মৃত্যুর ঘটনায় ‘মনপুরা’র মতো হৃদয়স্পর্শী চিত্র।