নিজ থেকেই টেস্ট অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন মুমিনুল হক। আজ মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে তিনি নিজেই জানিয়েছেন এ কথা। তবে এখনও চূড়ান্ত হয়নি তার অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত। এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত আসবে বিসিবির পক্ষ থেকেই। যা জানা যাবে বৃহস্পতিবার বোর্ড সভার পর।
বোর্ডের আনুষ্ঠানিক সভার আগে আজ সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বাসায় আলোচনা করতে গিয়েছিলেন মুমিনুল। সেখানেই তিনি পাপনকে জানিয়ে এসেছেন, আর অধিনায়কত্ব করতে চান না। অবশ্য পাপন তাকে বলেছিলেন, অধিনায়কত্ব চালিয়ে নিতে।
অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা বলার পর পাপন কী বলেছেন জানতে চাওয়া হলে মুমিনুল বলেন, পাপন ভাই শুনেছেন কথা। উনি থাকতে বলেছেন কিন্তু আমি আসলে আর এটা চাচ্ছি না। আমি ব্যক্তিগতভাবে আসলেই চাচ্ছি না। কেন চাচ্ছি না সেটা আগেই বললাম।
অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ জানিয়ে এর আগে মুমিনুল বলেন, আমি চাচ্ছি ব্যাটিংয়ে মনযোগ দিতে, আমার জন্য ভালো। যখন আপনি ভালো খেলবেন, দল খারাপ করলেও অনুপ্রেরণা দিতে পারবেন। কিন্তু আমি ভালো খেলতে পারছি না, দলও ভালো করছে না। এই সময়ে অধিনায়কত্ব করা খুবই কঠিন।
মুমিনুলের অধীনে ১৭ ম্যাচ খেলে তিনটিতে জিতেছে বাংলাদেশ, ড্র হয়েছে দুই টেস্ট। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ে টাইগারদের দলপতি ছিলেন তিনিই। তবে সেই ঐতিহাসিক জয়কে অতীত হিসেবেই দেখছেন মুমিনুল।
এখন সামনের দিকে তাকানোর কথা জানিয়ে তিনি বলেন, অতীতের সাফল্য অতীত হয়ে গেছে। অতীত তো কারও মনে থাকে না। এখন সামনে যেগুলো আছে ওগুলো নিয়েই কাজ করতে হবে। অতীত কোনোভাবেই আমার কাছে আর ম্যাটার করে না।
সবশেষ সাত ইনিংসের একবারের জন্যও দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি মুমিনুল। শেষ ১৫ ইনিংসে ফিফটি করেছেন মাত্র একবার। সবমিলিয়ে অধিনায়ক হিসেবে ১৭ ম্যাচের ৩১ ইনিংসে মাত্র ৩১.৪৪ গড়ে ৯১২ রান করতে পেরেছেন তিনি। অথচ অধিনায়কত্ব পাওয়ার আগে তার ব্যাটিং গড় ছিল প্রায় ৪২ ছুঁইছুঁই।
এটিই বাড়তি চাপ ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, না চাপ আর কি! আমার জায়গায় অন্য যেকোনো বড় অধিনায়কই হোক, সে যদি দলের জন্য অবদান রাখতে না পারে তাহলে তার ওপরে চাপ আসবেই। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার।
নতুন অধিনায়ক হিসেবে নির্দিষ্টভাবে কারও নাম সুপারিশ করেননি মুমিনুল। তবে জোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, আবারও সাকিব আল হাসানের হাতেই তুলে দেওয়া হবে এ দায়িত্ব। ২০১৯ সালে আইসিসির নিষেধাজ্ঞার আগে সাকিবই ছিলেন টেস্ট অধিনায়ক।
এখন তাকেই আবার দেওয়া হবে কি না সেটি জানা যাবে বৃহস্পতিবার। মুমিনুলও বললেন একই কথা, আমি তেমনভাবে কারও নাম বলিনি। বোর্ডই সিদ্ধান্ত জানাবে কাকে দেবে, না দেবে। ২ তারিখ যে বোর্ড সভা আছে, ওখানে হয়তো সিদ্ধান্ত নেবেন এ ব্যাপারে। আমি আমার কথা যেটা বলার ছিল সেটা বলে এসেছি।