তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে নেদারল্যান্ডসকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। বুধবার সিরিজের শেষ ম্যাচে জেসন রয় ও জস বাটলারের তাণ্ডবে মাত্র ৩০.১ ওভারে ২৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৮ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
একইসঙ্গে বিশ্বকাপ সুপার লিগেও এক নম্বরে উঠে গেছে ইংলিশরা। ডাচদের বিপক্ষে তিন জয়ে পাওয়া ত্রিশ পয়েন্টে বাংলাদেশকে টপকে ১২৫ পয়েন্ট নিয়ে এখন শীর্ষে ইংল্যান্ড। দুইয়ে থাকা বাংলাদেশের ঝুলিতে রয়েছে ১২০টি পয়েন্ট।
বিশ্বকাপ সুপার লিগের শীর্ষ দুইয়ে থাকা দুই দলই খেলেছেন সমান ১৮টি করে ম্যাচ, জিতেছে ১২টি করে ম্যাচ। তবে বাংলাদেশ হেরেছে ছয়টি আর ইংলিশদের পরাজয় পাঁচ ম্যাচে। একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় সেই ম্যাচের পাঁচ পয়েন্ট নিয়েই মূলত এখন বাংলাদেশের ওপরে তারা।
বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড ছাড়া বিশ্বকাপ সুপার লিগে পয়েন্টের সেঞ্চুরি করা অন্য দলটি হলো আফগানিস্তান। তারা ১২ ম্যাচ খেলেই ১০টিতে জিতে তুলে নিয়েছে ১০০ পয়েন্ট। আর কোনো দল এখন পর্যন্ত ১০০ পয়েন্টের ঘরে ঢুকতে পারেনি।
তবে কাছাকাছিই রয়েছে পাকিস্তান। তারা ১৫ ম্যাচ খেলে জিতেছে নয়টিতে। যার সুবাদে পাওয়া ৯০ পয়েন্টে তাদের অবস্থান চার নম্বরে। সবচেয়ে বেশি ২১ ম্যাচ খেলে ফেলা ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছে মাত্র আটটি ম্যাচ। পাকিস্তানের ঠিক নিচেই তাদের অবস্থান।
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কম মাত্র ছয়টি ম্যাচ খেলেছে নিউজিল্যান্ড। তবে এই ছয় ম্যাচের সবকয়টিই জিতেছে তারা। এছাড়া ১২টি করে ম্যাচ খেলে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। আগামী বছরের মে মাসের মধ্যে সব দলকেই খেলতে হবে নির্দিষ্ট ২৪টি ম্যাচ।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের সরাসরি টিকিট পাওয়ার বাছাইপর্ব হিসেবে চলছে এই সুপার লিগ। আয়োজক ভারত ছাড়া সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ সাতটি দল পাবে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার টিকিট। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের টিকিট একপ্রকার নিশ্চিতই বলা চলে।
বিশ্বকাপ সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিল
১/ ইংল্যান্ড – ১৮ ম্যাচে ১২৫ পয়েন্ট
২/ বাংলাদেশ – ১৮ ম্যাচে ১২০ পয়েন্ট
৩/ আফগানিস্তান – ১২ ম্যাচে ১০০ পয়েন্ট
৪/ পাকিস্তান – ১৫ ম্যাচে ৯০ পয়েন্ট
৫/ ওয়েস্ট ইন্ডিজ – ২১ ম্যাচে ৮০ পয়েন্ট
৬/ ভারত – ১২ ম্যাচে ৭৯ পয়েন্ট
৭/ অস্ট্রেলিয়া – ১২ ম্যাচে ৭০ পয়েন্ট
৮/ আয়ারল্যান্ড – ১৮ ম্যাচে ৬৮ পয়েন্ট
৯/ শ্রীলঙ্কা – ১৮ ম্যাচে ৬৮ পয়েন্ট
১০/ নিউজিল্যান্ড – ৬ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট
১১/ দক্ষিণ আফ্রিকা – ১৩ ম্যাচে ৪৯ পয়েন্ট
১২/ জিম্বাবুয়ে – ১৫ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট
১৩/ নেদারল্যান্ডস – ১৬ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট