সাকিব আল হাসান আজ রোববার দুপুরে (বেলা সাড়ে ১১টায়) ঢাকা ফিরছেন।
মেলবোর্নের একটি হাসপাতালে প্রায় ১১ দিন চিকিৎসার পর শুক্রবার তাকে রিলিজ দেয়া হয়। ৫ অক্টোবর তিনি মেলবোর্নে যান। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডেভিড হয়ের তত্ত্ববধানে ছিলেন তিনি।
পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট ভালো হলেও চিকিৎসক জানিয়েছেন, বাঁ হাতের কনিষ্ঠ আঙুলের অস্ত্রোপচার আগামী অন্তত ছয় মাসের মধ্যে করা যাবে না। তবে সংক্রমণ সেরে গেলে শুরু করতে পারবেন খেলা। তাতে নতুন করে ব্যথা অনুভব করলে অবশ্য খেলা বন্ধ করে অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতি নিতে হবে সাকিবকে।
সদ্য শেষ হওয়া এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বে আঙুলে তীব্র ব্যথা অনুভব করলে টুর্নামেন্ট শেষ না করেই ২৬ সেপ্টেম্বর দেশে ফেরেন সাকিব।
পরদিনই রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হলে চিকিৎসক জানান, তার ক্ষতে ইনফেকশন হয়ে পুঁজ জমে গেছে। তৎক্ষণাৎ প্রায় ৬০-৭০ মিলিগ্রাম পুঁজ বের করা হয় তার আঙুল থেকে। পাশাপাশি চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, সাকিবের আঙুল কখনোই পুরোপুরি সেরে উঠবে না এবং আগামী ৩ মাস তিনি কোন ধরণের ক্রিকেট খেলতে পারবেন না।
চলতি বছর জানুয়ারিতে চোট পান সাকিব। চোটের কারণে শুরুতে নিদাহাস ট্রফির দলে না থাকলেও পরে দলের প্রয়োজনে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও ব্যথানাশক ঔষধ নিয়ে খেলেন সাকিব আল হাসান এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজের সেরা খেলোয়াড় হন।
এশিয়া কাপের আগে সাকিব নিজের হাতে অস্ত্রোপচার করাতে চেয়েছিলেন।কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চাওয়া ছিল এশিয়া কাপের পরে অস্ত্রোপচার করানো। এশিয়া কাপের মাঝপথে নতুন করে ব্যথা পান আঙুলে।