দফায় দফায় ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন করে আরও ১০০ কোটি ডলারের নিরাপত্তা প্যাকেজের প্রস্তুতি নিচ্ছে ওয়াশিংটন। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই প্যাকেজের আওতায় ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং মেডিকেল সুবিধাসংবলিত সাঁজোয়া যান সরবরাহ করা হবে।
এখন পর্যন্ত ইউক্রেনকে যে পরিমাণ সামরিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে এটাই তার মধ্যে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। সোমবার এই প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে বলে তিনটি সূত্র রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত চলছেই। পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। এদিকে ইউক্রেনকে এখন পর্যন্ত ৮৮০ কোটি ডলারের সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে রয়টার্সকে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পরবর্তী অস্ত্র প্যাকেজে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এখনও অনুমোদন দেননি। তিনি এতে স্বাক্ষরের আগে এর বিষয়বস্তুতে কিছু পরিবর্তন হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
তবে বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী সহায়তা প্যাকেজটি ঘোষণা করা হলে এতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা হাইমোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম (হিমার্স), ন্যাশনাল অ্যাডভান্সড সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম (নাসামস) এবং প্রায় ৫০টি এম১১৩ মেডিকেল-সুবিধাসংবলিত সাঁজোয়া যান থাকবে।
পেন্টাগন সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে, রামস্টেইন বিমান ঘাঁটির কাছে জার্মানির একটি মার্কিন সামরিক হাসপাতালে ইউক্রেনের নাগরিকদের চিকিৎসা নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।
এছাড়া গত সোমবার পেন্টাগন ইউক্রেনের জন্য ৫৫ কোটি ডলারের নিরাপত্তা সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল। ওই প্যাকেজের মধ্যে হিমার্স-এর জন্য অতিরিক্ত গোলাবারুদ অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে নতুন প্যাকেজের বিষয়ে এখনই কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
এর আগে গত মাসের শেষের দিকে ইউক্রেনকে ২৭ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে উন্নত প্রযুক্তির ড্রোনও রয়েছে।