বাংলাদেশ বিশ্বে ধর্মীয় সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত : প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব ধর্মের উৎসব পালনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে ধর্মীয় সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে প্রত্যেকে ভাই-বোনের মতো প্রতিটি ধর্মীয় উৎসব পালন করে। আমরা কাধেঁ কাঁধ মিলিয়ে উৎসবগুলো পালন করি।

সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সোমবার বিকালে রাজধানীর টিকাটুলী রামকৃষ্ণ মিশন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বাংলাদেশ বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এখানে ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ সবাই যার যার অধিকার নিয়ে বসবাস করবে।

সবাই মিলে এক সঙ্গে দেশ গড়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত। আসুন, সবাই মিলে আমরা এই দেশকেও একসঙ্গে গড়ে তুলি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ উন্নত হোক, সমৃদ্ধশালী হোক, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ, ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ হোক। এটাই ছিল জাতির পিতার স্বপ্ন।

শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুষ্ঠুভাবে, উৎসবমুখর পরিবেশে এই উৎসব হোক, সেটাই আমরা চাই। কারণ অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়েই এই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। বাংলাদেশ সেই আদর্শ নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেল ঢাকেশ্বরী মন্দির :

প্রায় ৬৫ বছরের পুরনো জটিলতা সমাধান করে দেড় বিঘা জমির মালিকানা পুজার উপহার হিসেবে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের কাছে হস্তান্তর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে গিয়ে জমি-সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ বিষয়ে ঢাকেশ্বরী মন্দির কমিটির সভাপতি নির্মল চ্যাটার্জি বলেন, আমরা বলেছিলাম এটা দেবোত্তর সম্পত্তি, অন্যরা বলেছিল এটা তাদের নিজেদের। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ৬০ বছরের একটা ঝামেলার অবসান হলো। আমরা বলবো পূজা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী এই সমস্যার সমাধান করে, এই সম্পত্তি আমাদের উপহার দিয়েছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের বলেছেন, জমি-সংক্রান্ত যে ঝামেলা ছিল সেটার অবসান হলো। আমি সনাতন সম্প্রদায়কে এটা উপহার দিয়ে গেলাম।

দখলের বিষয়ে মন্দির কমিটির সভাপতি বলেন, আইনগত একটা প্রক্রিয়া আছে। যারা এতদিন মালিকানা দাবি করেছিল, তাদের দখলি কিছু রাইটসের ব্যাপার রয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের দোষ ছিল কিছু। সবকিছু মিলিয়ে আইনগত কিছু ব্যাপার আছে, সেগুলো শেষ করে আমরা এটা দখলে নেব।

রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠের স্বামীজী ধ্রুবাবেশানন্দ প্রধানমন্ত্রীর হাতে শারদীয় শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, পুলিশের আইজি মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ প্রমুখ।

 

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে