আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতকে অনুরোধ আওয়ামী লীগ করে না, করেনি। শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকেও কাউকে এমন দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। যিনি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) এ কথা বলেছেন, সেটা তার ব্যক্তিগত অভিমত হতে পারে। সেটা আমাদের সরকারের বক্তব্য না, দলেরও না।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর পলাশীর মোড়ে কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী মিছিল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন। হিন্দুধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে মিছিলের আয়োজন করে পূজা উদ্যাপন পরিষদ ও মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি।
সেখানে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারত আমাদের সঙ্গে বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ। ভারত আমাদের দুঃসময়ের বন্ধু। ৭১-এ রক্তের বন্ধনে আমরা আবদ্ধ। তাই বলে আমরা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতকে অনুরোধ করব—এ ধরনের কোনো অনুরোধ আওয়ামী লীগ করে না, করেনি। শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকেও কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। আমাদের সমর্থন, ক্ষমতার উৎস বাংলাদেশের জনগণ।
‘যিনি এ কথা বলেছেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত অভিমত হতে পারে’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সেটা আমাদের সরকারেরও বক্তব্য না, দলেরও না। এটা আমি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই। এতে ভারতও লজ্জা পায়। কীভাবে আমরা এ কথা বলি? বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কটা ভালো আছে। অহেতুক কথা বলে এটা (বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক) নষ্ট করবেন না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী সেপ্টেম্বরে ভারতে যাবেন বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তখন হয়তো আরও কিছু বিষয়ে মতৈক্য হবে। লেনদেন, পার্টনারশিপ আরও জোরদার করার বিষয়ে আলাপ-আলোচনা হবে।
ভারতের সঙ্গে বৈরিতা চান না উল্লেখ করে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৯৭৫ সালের পর ভারতের সঙ্গে বৈরিতা করে আমাদের দেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর সেই অবিশ্বাস-সংশয়ের দেয়াল ভেঙে দিয়েছেন।
এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া দুর্গাপূজা ও জন্মাষ্টমীর মতো অনুষ্ঠান হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে পালন করেছেন বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ইদানীং কিছু সহিংস ঘটনা ঘটছে। যারা হিন্দুদের মন্দির, বাড়িতে হামলা করে, তারা কোনো দলের নয়। তারা হচ্ছে দুর্বৃত্ত। তারা সবার শত্রু।