জনপ্রতিনিধিদের কর রিটার্ন সনদ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে

ডেস্ক রিপোর্ট

কর রিটার্ন জমা না দেয়ায় জনপ্রতিনিধিদের সম্পদের সঠিক হিসাব পাওয়া যায় না বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে তাদের জন্য কর রিটার্ন সনদ বাধ্যতামূলক করা হবে। একইসঙ্গে নির্বাচনী অফিসে করের রিটার্ন সনদ (কর প্রাপ্তিস্বীকারপত্র) জমা না দিলে প্রার্থীরা নির্বাচন করার অনুমতি পাবেন না।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর নগর ভবনে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে ‘কর জরিপ, করনেট সম্প্রসারণ ও করদাতা উদ্বৃদ্ধকরণ শীর্ষক’ এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান।

জনপ্রতিনিধিদের করের আওতায় আনা প্রসঙ্গে এনবিআরের চেয়ারম্যান বলেন, প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণায় কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছেন ওইসব অর্থ নিয়ম অনুসারে কর দিচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।

মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, সিটি করপোরেশনের করযোগ্য নাগরিকদের বছরে নূন্যতম ৫ হাজার টাকা কর দিতে হয়। এটি অনেকে জানেন না কিংবা ভয়ে জানতে চান না। করযোগ্য অনেক নাগরিকই করের আওতায় আসেননি। আগামী এক বছরের মধ্যে কর নিবন্ধন দ্বিগুণ বাড়ানো হবে। রিটার্ন দাখিলের সংখ্যাও দ্বিগুণে উন্নীত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এজন্য কর জরিপ কার্যক্রমে জোর দেয়া হচ্ছে। সিটি করপোরেশন এলাকার ফ্ল্যাট মালিকদের করের আওতায় আনতে তাদের বিষয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। খুব শিগগিরই তাদের জরিপের আওতায় আনা হবে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র সাঈদ তার বক্তব্যে বলেন, সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯ এর চতুর্থ তফসিলে ১৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা আছে, সিটি করপোরেশন এলাকায় সরকার যে কর আদায় করবে, সেখান থেকে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে একটা উপকর প্রদান করবে। এটা আইনে পরিষ্কার বলা আছে। তবে সিটি করপোরেশন সে কর পায় না। গত বছর আমরা এনবিআরকে ১২০ কোটি টাকা কর দিয়েছি। আমরা যেভাবে দিতে চাই, সেভাবে নিতেও চাই।

গ্রাম পর্যায়ে করের আওতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে সাঈদ খোকন বলেন, আমাদের দেশের গ্রাম এখন এগিয়েছে। গ্রামের জমির দামও অনেক। শুধু সিটি করপোরেশন থেকে কর আদায় করলে হবে না। দেশের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে শহরের পাশাপাশি গ্রামে করনেট বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে জনগণের করের টাকা ব্যবহারে স্বচ্ছতা থাকতে হবে বলেও মন্তব্য করেন।

এনবিআরের কর কমিশনার (কেন্দ্রীয় জরিপ অঞ্চল) মো. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এনবিআর সদস্য (কর প্রশাসন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) জিয়া উদ্দিন মাহমুদ, সদস্য (আয়কর জরিপ ও পরিদর্শক) মোহাম্মদ গোলাম নবী, বিজিএমইএ পরিচালক মো. মনির হোসেন প্রমুখ।

 

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে