না ফেরার দেশে চলে গেলেন সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসায় ৮৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
এদিন রাত ১০টার দিকে এ তথ্য জানান বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
বিএনপির সূত্র জানিয়েছে, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ভাষা আন্দোলন, ৬ দফা আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরব ও সামনের সারিতে ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিতে সক্রিয় ছিলেন।
শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন শেষ দিকে এসে বিএনপির নেতৃত্ব ও দলটির রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে মুখর ছিলেন। তিনি দলটির স্থায়ী কমিটিতে স্থান না পাওয়ায় একাধিকবার সমালোচনাও করেছেন দলের। মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং বঙ্গবন্ধু সরকারের চিফ হুইপের দায়িত্ব পালন করেন।। এরশাদ সরকারের সময়ে তিনি উপ-প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড মামলায় তিনি আসামি ছিলেন। পরে আদালতের রায়ে খালাস পান। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর তিনি খন্দকার মোশতাক আহমেদের মন্ত্রিসভায়ও ছিলেন। পরে তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। ১৯৯২ সালে এরশাদ তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেন।
মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বিএনপিতে সক্রিয় ছিলেন। দলটির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। বর্ষীয়ান এই নেতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অনেকে।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, মৃত্যুকালে শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন এক ছেলে ও এক মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার স্ত্রী ২০০৯ সালে ইন্তেকাল করেছেন।
জানাজার বিষয়ে দল এবং পরিবারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত হলে জানানো হবে। ছেলে আমেরিকায় আছেন, তাকে মৃত্যুর সংবাদ জানানো হয়েছে।
শায়রুল কবির খান জানান, সর্বশেষ গত সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) হাসপাতালে অসুস্থ কাদের সিদ্দিকীকে দেখতে গিয়েছিলেন শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন।