ডেঙ্গুতে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ঢাকার ২৭টি ওয়ার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডেঙ্গু
ফাইল ছবি

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক জরিপে দেখা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১৩টি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১৪টি ওয়ার্ড ডেঙ্গুতে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।

universel cardiac hospital

তিনি জানান, ডিএনসিসি ৪০ ওয়ার্ডে ৪৮টি সাইট এবং ডিএসসিসির ৫৮টি ওয়ার্ডে ৬২টি সাইটসহ মোট ১১০টি সাইটে ৩ হাজার ১৫০টি বাড়িতে সার্ভে পরিচালনা করা হয়েছে। ২১টি টিমের মাধ্যমে ১০ দিনব্যাপী এই স্টাডি পরিচালনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রতিটি টিম অন্তত ১৫টি সাইট সার্ভে করে।

জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, ৩ হাজার ১৫০টি বাড়িতে পরিচালিত এই সার্ভেতে ২ হাজার ৮২৯টি বাড়িতেই নমুনা পরীক্ষায় ফলাফল নেগেটিভ এসেছে, আর ১৫৯টি বাড়িতে ডেঙ্গু ফলাফল পজিটিভ এসেছে। মোট পজিটিভ আসা বাড়িগুলোর মধ্যে ৬৩টি বাড়ি ডিএনসিসিতে এবং ৯৬টি বাড়ি ডিএসসিসিতে অবস্থিত।

শতাংশ বিবেচনায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার ১৩ শতাংশ বাড়িতে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। এছাড়াও ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রায় ১২ শতাংশ বাড়িতে এ লার্ভা পাওয়া যায়। দুই সিটি করপোরেশন মিলিয়ে দেখা যায় ১০ শতাংশ বাড়িতেই এই লার্ভা পাওয়া গেছে।

জরিপে দেখা গেছে, দুই সিটিতে পড়ে থাকা বা ফেলে রাখা ভেজা পাত্রে সবচেয়ে বেশি মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। এছাড়াও ঘর বা ভবনের মেঝে প্লাস্টিকের ড্রাম বা প্লাস্টিকের নানা ধরনের পাত্রেও এই লার্ভা পাওয়া যায়। ঢাকা দক্ষিণ করপোরেশনের ২৬ শতাংশ এ ধরনের পাত্রে ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২২ শতাংশ পাত্রে মশার এ লার্ভা পাওয়া গেছে।

১১ থেকে ২৩ আগস্ট দুই করপোরেশনে এই জরিপ হয়েছে। জরিপকারীরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৬২টি ওয়ার্ডে তারা মোট ১ হাজার ৮৩০টি বাড়ি পরীক্ষা করেছেন। এসব বাড়িতে তারা মোট ১ হাজার ৩৩৭টি ভেজা পাত্র দেখেছিলেন। তারা প্রায় ১২ শতাংশ বাড়িতে মশার লার্তা পেয়েছেন। অন্যদিকে প্রায় ২২ শতাংশ ভেজা পাত্রে মশার লার্তা ছিল। মশার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে ৮ নম্বর ওয়ার্ড (কমলাপুর ও মতিঝিল), ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড ( নবাবপুর ও বংশাল) এবং ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে ওয়ারী ও নারিন্দা)।

শেয়ার করুন