পটুয়াখালীতে কর্মরত সাংবাদিক সঞ্জয় দাস লিটুর ওপর হামলা হয়েছে। ঢাকা থেকে মেঘনা পরিবহন নামের একটি বাসে পটুয়াখালী আসার পথে গতকাল মঙ্গলবার রাতে শিয়ালী বাজার বাসস্ট্যান্ডে এক ব্যক্তি তার ওপর হামলা করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই সাংবাদিককে তাৎক্ষণিক পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হামলার শিকার সঞ্জয় দাস লিটু চ্যানেল নিউজ ২৪, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও বিডিনিউজের পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকায় বিডিনিউজের একটি কর্মসূচি শেষে গতকাল বিকেলে মেঘনা পরিবহনের একটি বাসে সাংবাদিক সঞ্জয় পটুয়াখালী রওনা দেন। বাসটি পটুয়াখালী শহরের মাত্র ২ কিলোমিটার দূরত্বে বদরপুর ইউনিয়নের শিয়ালী বাজার এলাকায় পৌঁছালে ওই বাসে থাকা এক ব্যক্তি সঞ্জয়ের ওপর হামলা করেন। এ সময় কিলঘুষি দিয়ে রক্তাক্ত আহত করে তিনি বাস থেকে নেমে পালিয়ে যান।
সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার খবর পেয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা হাসপাতালে ছুটে যান।
এ ঘটনার সময় ওই বাসে থাকা বিডিনিউজের বরগুনা প্রতিনিধি মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘বাসটি পটুয়াখালীর কাছাকাছি পৌঁছালে হঠাৎ বাসে থাকা অজ্ঞাত একজন সন্ত্রাসী সঞ্জয়ের ওপর হামলা শুরু করে। এ সময় ওই ব্যক্তি নিজেকে পটুয়াখালীর শীর্ষ পাঁচ সন্ত্রাসীর মধ্যে নিজেকে শ্রেষ্ঠ বলেও দাবি করে সঞ্জয়ের ওপর কিলঘুষি মারতে থাকে। কী কারণে এবং কেন এই হামলা, কিছু বুঝে ওঠার আগেই সঞ্জয়কে রক্তাক্ত করে সন্ত্রাসী বাস থেকে নেমে যায়। পরে আমি সঞ্জয়কে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি।’
এদিকে সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার খবর পেয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা হাসপাতালে ছুটে যান। তারা আহত সাংবাদিকের পাশে দাঁড়ান এবং অতি দ্রুত এই হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আহত সাংবাদিকের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে খুঁজে বের করতে কাজ শুরু করেছে এবং গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।