ইউক্রেনে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা কয়েকটি অঞ্চলে জরুরি কথিত গণভোট আয়োজনে মস্কোর পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলে এই ভোট আহ্বান করেছেন সেখানকার রুশ সমর্থিত কর্মকর্তারা। অঞ্চল চারটিকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার লক্ষ্যেই এই গণভোটের আয়োজন।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, এই গণভোটের পরিকল্পনার সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও ফ্রান্স বলছে, তারা এ ধরনের ‘ভুয়া’ ব্যালটের ফলাফলকে কখনোই স্বীকৃতি দেবে না। এ ছাড়া পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো বলেছে, গণভোটের এই পরিকল্পনা যুদ্ধের তীব্রতা বাড়াবে।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় লুহানস্ক ও দোনেৎস্কের পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চলের জাপোরিঝিয়া ও খেরসনে ২৩ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য এই ভোটের পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, যে চারটি অঞ্চলে গণভোট হচ্ছে তা ইউক্রেনের ভূখণ্ডের প্রায় ১৫ শতাংশ, যা ইউরোপের দেশ হাঙ্গেরির সমান এলাকা।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ একে ‘ভুয়া’ গণভোট আখ্যা দিয়ে রুশ পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করেছেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এটিকে গণতন্ত্রের প্রতি উপহাস হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, তার দেশ কখনোই এই গণভোটকে স্বীকৃতি দেবে না। একে সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা নীতির অবমাননা বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
রাশিয়ার এমন পদক্ষেপের মুখে কিয়েভের প্রতি মিত্রদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কি বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) ভিডিও লিংকের মাধ্যমে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। দেশটির এক-পঞ্চমাংশ রুশ সেনাদের দখলে রয়েছে। তবে পাল্টা হামলা শুরু করেছে ইউক্রেন। চলতি সেপ্টেম্বর মাসেই রাশিয়ার দখলে থাকা ৬ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন ইউক্রেনের সেনারা।