বিশ্বে খাদ্যপ্রাপ্তির সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এ সমস্যা থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত রাখতে হবে। সেজন্য দেশবাসীকে উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, সারাবিশ্বে যে দুর্যোগের ঘনঘটা তা থেকে বাংলাদেশকে সুরক্ষিত করতে হবে। যে যার অবস্থান থেকে অধিক খাদ্য উৎপাদনের চেষ্টা করুন। যার যে জমি আছে সবাই সেখানে কিছু উৎপাদনের চেষ্টা করুন।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ তাগিদ দেন তিনি। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অনেক সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জায়গা আছে। সেগুলোতে আমরা উৎপাদনের দিকে নজর দেই। খাদ্য গ্রহণেও সাশ্রয়ী হই। যে যা পারি উৎপাদন করি। তাহলে বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ হবে না। বিশ্বব্যাপী যদি দুর্ভিক্ষ হয়ও, বাংলাদেশ যেন খাদ্যের যোগান দিতে পারে আমাদের এখন সে ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, পাশাপাশি আমাদের খাদ্যের সাশ্রয় করতে হবে। আবার যেসব খাদ্য এখন বেঁচে যায়, সেগুলো সঠিক সংরক্ষণ করতে হবে। আমরা উৎপাদন করে যাচ্ছি, কিন্তু সেগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করতে পারলে অযথাই নষ্ট হবে। সেদিকে এখন নজর দিতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, এছাড়া দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে আমরা যে সব পণ্য আমদানি করি, সে সব পণ্য ব্যবহারে মনোযোগী হতে হবে। সেগুলোর উৎপাদন কীভাবে বাড়ানো যায় সে চেষ্টা করতে হবে। আমি মনে করি সেটা খুব একটা কঠিন হবে না। আমাদের পেঁয়াজের ঘাটতি ছিল, এখন আমরা পেঁয়াজ উৎপাদন করে চাহিদা মেটাচ্ছি। এসময় তেলজাতীয় ফসলে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেন সরকারপ্রধান।
কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মতিয়া চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম।
জানা গেছে, ১৬ অক্টোবর ছিল বিশ্ব খাদ্য দিবস। এ উপলক্ষে ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কৃষি মন্ত্রণালয়। অনুষ্ঠানে খাদ্য নিয়ে একটি প্রামাণ্য চিত্র দেখানো হয়। ‘কাউকে পশ্চাতে রেখে নয়। ভালো উৎপাদনে উত্তম পুষ্টি, সুরক্ষিত পরিবেশ এবং উন্নত জীবন’ এ প্রতিপাদ্যে এবারের বিশ্ব খাদ্য দিবস পালিত হয়েছে।