প্রধানমন্ত্রীকে ৫ নভেম্বর কওমি আলেমদের সংবর্ধনা

ডেস্ক রিপোর্ট

কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি পাওয়ায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শোকরানা সমাবেশের ডাক দিয়েছে কওমি শিক্ষা বোর্ড হাইআতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৫ নভেম্বরের এই আয়োজনে অতিথি হয়ে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে।

কওমি শিক্ষা বোর্ডের প্রধান আল্লামা আহমদ শফীর নেতৃত্বে গত বুধবার সন্ধ্যায় একটি প্রতিনিধি দল গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তারা শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেয়ার প্রস্তাব করেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সংবর্ধনা নিতে আপত্তি জানান। পরে শোকরানা সমাবেশের সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠকে ছিলেন হাইআতুল উলয়ার কো চেয়ারম্যান আশরাফ আলী, সাবেক কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারাসিল আরাবিয়ার সহসভাপতি মুফতি ওয়াক্কাস, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা আবদুল হামিদ, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা মুসলেহুদ্দীন রাজু, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, সহকারী মহাসচিব মুফতি নুরুল আমিন ও মুফতি জসিমুদ্দীন প্রমুখ।

প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর মিয়া মো. জয়নাল আবেদিন, আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ আবদুল্লাহও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া করেন আল্লামা শফী।

এসময় আল্লামা শফী বলেন, মানুষের উপকারের প্রতিদান কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। হাদিসে রয়েছে, যে মানুষের কৃতজ্ঞতা আদায় করে না সে আল্লাহরও কৃতজ্ঞতা আদায় করে না। এ জন্য আমরা কৃতজ্ঞতাস্বরূপ শুকরিয়া মাহফিল করতে চাই। আমরা সেখানে আপনাকে আমন্ত্রণ জানাই।

পরে সিদ্ধান্ত হয় ৫ নভেম্বর রোববার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সমাবেশ হবে। আর সেখানে ব্যাপক জনসমাগমের প্রস্তুতিও নিয়েছেন কওমি আলেমরা।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১১ এপ্রিল গণভবনে আল্লামা শফীর নেতৃত্বে কওমি আলেমদের উপস্থিতিতে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সনদ দাওরায়ে হাদিসকে ইসলামির স্টাডিজে মাস্টার্সের সমমান দেয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। বর্তমান সংসদের চলমান শেষ অধিবেশনে এ বিষয়ে একটি আইনও পাস হয়েছে।

এই দাবিটি কওমি আলেমদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। তাদের ১৪ বছরের শিক্ষা জীবনের কোনো স্বীকৃতি না থাকায় এতদিন তারা কোনো চাকরিতে যোগ দিতে পারতেন না।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর এই স্বীকৃতি দেয়ার উদ্যোগ নেন প্রধানমন্ত্রী। আলোচনা করেন আলেমদের সঙ্গে। কিন্তু তাদের মধ্যে বিরোধের জেরে ভেস্তে যায় এই উদ্যোগ। তবে আট বছর পর প্রধানমন্ত্রীর সেই উদ্যোগ সফল হয়। আর এর পরই শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেয়ার আলোচনা হয়।

 

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে