সন্ত্রাসবাদ পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান সমস্যা : শেহবাজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। ফাইল ছবি

সন্ত্রাসবাদ পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের লাকি মারওয়াতে একটি পুলিশ ভ্যানে হামলার নিন্দা জানাতে গিয়ে বুধবার (১৬ নভেম্বর) তিনি একথা বলেন।

বুধবারের ওই হামলায় দেশটির ৬ পুলিশ সদস্য প্রাণ হারান। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই।

সংবাদমাধ্যম বলছে, খাইবার-পাখতুনখোয়া (কেপি) প্রদেশের লাকি মারওয়াত এলাকায় অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা টহলরত পুলিশের একটি গাড়িতে হামলার পর বুধবার অন্তত ছয় পুলিশ সদস্য নিহত হন। প্রদেশের চৌকি আব্বাসি এলাকায় হওয়া এই হামলায় নিহতরা রুটিন টহলে নিযুক্ত ছিলেন।

পরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ পুলিশ ভ্যানে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনও ভুল করা উচিত নয়। সন্ত্রাসবাদ পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

শরিফ আরও বলেন, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনী এবং পুলিশ বীরত্বের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। লাকি মারওয়াতে ওই পুলিশ ভ্যানে সন্ত্রাসীদের হামলার নিন্দা করার জন্য কোনও শব্দই যথেষ্ট নয়। শোকাহত পরিবারের জন্য আমার প্রার্থনা থাকবে।’

এর আগে গত মাসে খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশে হাজার হাজার মানুষ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্য প্রদর্শনে রাস্তায় নেমে আসেন। মূলত প্রদেশটির চারবাগে একটি স্কুল ভ্যান বন্দুক হামলার কবলে পড়লে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন তারা। স্কুল ভ্যানে গুলির ওই ঘটনায় চালক নিহত এবং দুই শিশু আহত হয়েছিল।

এছাড়া চলতি মাসের শুরুর দিকে, কোহাটের একটি মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় সশস্ত্র মোটরসাইকেল আরোহীদের হামলায় পাকিস্তানের কাউন্টার টেররিজম বিভাগের একজন সহকারী উপ-পরিদর্শকসহ দুই ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছিলেন।

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সাম্প্রতিক এসব হামলার ঘটনা এক দশকেরও বেশি সময় পর দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে জঙ্গিবাদ ও সহিংসতা আবারও ফিরে আসার আশঙ্কার জন্ম দিয়েছে।

গ্লোবাল স্ট্র্যাট ভিউ রিপোর্ট করেছে, খাইবার পাখতুনখোয়ার সোয়াতে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) পুনরুত্থান ২০০০ এর দশকের প্রথম দিকের রক্তাক্ত সময়ের স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ‘আরও উদ্বেগের বিষয় হলো- বেসামরিক নেতৃত্ব এবং পাকিস্তানের শক্তিশালী নিরাপত্তা সংস্থা এখন পর্যন্ত সোয়াতের উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে।’

শেয়ার করুন