ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও দৈনন্দিন কাজে অবৈধ হস্তক্ষেপের অভিযোগ স্থানীয় মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছেন সংস্থাটির কয়েক কর্মকর্তা। এ ব্যাপারে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) বিরুদ্ধে উল্টো অভিযোগ তুলেছেন চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, ঢাকা ওয়াসার এমডি নিজের খেয়ালখুশিমতো ওয়াসা চালাতে চান। বোর্ডকে কোনো কিছু করতে দিতে চান না।
ওয়াসার একাধিক কর্মকর্তাও নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সাম্প্রতিক সময় ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানের বিভিন্ন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করায় বোর্ড চেয়ারম্যানকে চাপে রাখতেই এই অভিযোগ। ঢাকা ওয়াসার প্রশাসনিক কাজে বোর্ড চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। বোর্ড চেয়ারম্যানের কিছু উদ্যোগের কারণে এমডি ক্ষুব্ধ। চেয়ারম্যানকে চাপে রাখতেই এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে।
ঢাকা ওয়াসার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গত ৩০ অক্টোবর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দেন ওয়াসার কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে চেয়ারম্যানের বক্তব্য জানতে চেয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ওই চিঠিতে কোনো কর্মকর্তার নাম উল্লেখ ছিল না। চিঠিতে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসার চেয়ারম্যান পদটি নির্বাহী পদ না হওয়া সত্ত্বেও চেয়ারম্যান বিভাগীয় প্রধানদের ডেকে বিভিন্ন নির্দেশনা দেন। নথি অনুমোদন ছাড়াই চেয়ারম্যান তার নির্দেশ পালন করতে বাধ্য করেন।
চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ওয়াসার বরখাস্ত করা কর্মকর্তাদের উসকে দেওয়ার অভিযোগ করা হয় চিঠিতে। তাতে বলা হয়, ওয়াসার কর্মচারীরা সিবিএ নেতা দাবি করে ঠিকমতো ডিউটি করেন না। কর্মচারীদের ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করতে বললে তারা চেয়ারম্যানের ভয় দেখান। অফিসে বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করছে।
ওয়াসার কর্মকর্তাদের এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পানি সরবরাহ শাখা থেকে ওয়াসা চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। ১৫ নভেম্বর পাঠানো চিঠিতে ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তাদের অভিযোগের বিষয়ে মতামত দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। তবে কত দিনের মধ্যে জবাব দিতে হবে, তা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়নি। একই চিঠি ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানকেও পাঠানো হয়েছে।