সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে মূল্য সূচকে বড় পতন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে লেনদেনে বেশ ধীরগতি রয়েছে। পাশাপাশি দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান।
প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মাত্র ৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এতে প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ২০ পয়েন্ট। আর লেনদেন হয়েছে ৫০ কোটি টাকার কিছু বেশি।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে মূল্যসূচক নিম্নমুখী রয়েছে। সেইসঙ্গে দাম কমার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান।
অবশ্য দুই বাজারেই দাম বাড়া বা কমার তুলনায় দাম অপরিবর্তিত থাকা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি। এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে (দাম কমার সর্বনিম্ন সীমা) আটকে রয়েছে। ক্রেতা না থাকায় যাদের কাছে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট আছে তারা বিক্রি করতে পারছেন না।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমার মাধ্যমে। ফলে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের তুলনায় ১১ পয়েন্ট কমে যায়।
লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টা ৫৬ মিনিটে ডিএসইতে ২১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৭টির। আর ১৫৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ১৫ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৭ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৬ পয়েন্ট কমেছে। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৭ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে ৭১ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ৪৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৪টির, কমেছে ২৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির।