২৪ বছর পর প্রথম রাউন্ড থেকে বেলজিয়ামের বিদায়

ক্রীড়া ডেস্ক

ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি হলেও নকআউট পর্বে যাওয়া সম্ভব, তবে শর্ত প্রযোজ্য– খেলা শুরুর মুহূর্তেও বেলজিয়ামের সমীকরণ ছিল এ রকম। সেই শর্তের মধ্যে ছিল কানাডার কাছে মরক্কোর হার। সঙ্গে বড় অঙ্কের গোল ব্যবধান। কিন্তু খেলা শুরুর কিছুক্ষণ পরই বেলজিয়ামের হিসাবটা হয়ে গেল একমুখী– ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে জিততেই হবে।

বেলজিয়াম জেতেনি। ক্রোয়াটদের সঙ্গে ম্যাচ শেষ করেছে ০–০ স্কোরলাইনে। ওদিকে মরক্কো জিতে গেছে ২–১ ব্যবধানে।

দুই ফলের হিসাব–নিকাশে গ্রুপ পর্বেই বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেছে বেলজিয়ামের। ‘এফ’ গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে মরক্কো ও ক্রোয়েশিয়া।

২০১৮ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলা বেলজিয়াম প্রথম রাউন্ড থেকে সর্বশেষ বিদায় নিয়েছিল ১৯৯৮ সালে। রাশিয়ায় তৃতীয় হওয়ার আগে ২০১৪ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিল দেশটি।

আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়ামের ম্যাচটিতে নামার আগেই নিজেদের পথটা কঠিন করে তুলেছিল বেলজিয়াম। কানাডার বিপক্ষে কোনোমতে ১-০ ব্যবধানে জিতলেও মরক্কোর কাছে ২-০ গোলে হারায় শেষ ম্যাচের সমীকরণ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এর পরও অবশ্য দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার পথ নিজেদের হাতেই ছিল। জিততে হতো ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে।

গত আসরের রানার্স আপ ক্রোয়েশিয়ার সমীকরণ ছিল অপেক্ষাকৃত সহজ। ড্র করলেই শেষ ষোলো নিশ্চিত। লুকা মদরিচের দল ম্যাচের শুরু থেকে সেই লক্ষ্যেই খেলে গেছে। যদিও রেফারির শুরুর বাঁশির পরপরই একটি সুযোগ চলে এসেছিল।

কিক অফের পর বল টেনে ইভান পেরিসিচকে বল বাড়ান মদরিচ। পেরিসিচ টমাস মনিয়েরকে টপকে শট নিলেও ডান পোস্টের পাশ দিয়ে চলে যায়। এর দশ মিনিট পর ভালো সুযোগ পায় বেলজিয়াম। ক্রোয়াট ডি বক্সে বল পেয়ে শট নিয়েছিলেন ইয়ানিক কারাসকো। তাঁর ডান পায়ে নেওয়া শট প্রতিহত করেন মার্সেলো ব্রজোভিচ।

তবে ম্যাচে বেলজিয়ামের সূবর্ণ সুযোগটি আসে এর দুই মিনিট বাদে। প্রতি আক্রমণে নিজেদের অর্ধ থেকে দ্রুত বল নিয়ে ক্রোয়াট রক্ষণে ঢুকে যান ডি ব্রুইনা। চমৎকার এক পাসে ডানদিকে বল বাড়ান দ্রিস মের্তেন্সের দিকে। কিন্তু ৩৫ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার বল মেরে দেন বারের ওপর দিয়ে।

শেয়ার করুন