দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হলেও সকাল ৯টায় তা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, কিছু দিন ধরেই উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১২-১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রেকর্ড করা হচ্ছে। কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলেও আজ সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে দিনের তাপমাত্রাও কিছুটা কমেছে। সোমবার বিকেল ৩টায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগে রোববার রেকর্ড হয়েছিল ২৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে বেশ ঠান্ডা অনভূত হচ্ছে। তাপমাত্রা অনেক নিচে নেমে এসেছে। হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা কাছাকাছি থাকায় এ অঞ্চলে আগেই শীত নামে। মূলত সকাল ১০টা থেকে বাড়তে থাকে তাপমাত্রা। সন্ধ্যার পর থেকে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীতের পারদ নেমে আসে। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত শীত অনুভূত হয়।
দিন-রাতে তাপমাত্রা দুই রকম থাকায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। জ্বর, সর্দি, কাঁশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন রোগীরা। জেলা-উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দুই-তিন শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু।
চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি, কাঁশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, গত দিনের থেকে তাপমাত্রা কমেছে। মঙ্গলবার ভোর ৬টায় ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হলেও সকাল ৯টায় তাপমাত্রা কমে রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সোমবার রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানান এ কর্মকর্তা।