ভোলা সদর উপজেলার মেঘনা নদীতে ঘনকুয়াশার কারনে অপর একটি জাহাজের ধাক্কায় তলা ফেটে এগারো লাখ লিটার জ্বালানি তেলসহ ‘সাগর নন্দিনী-২’ নামের একটি তেলবাহী কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে।
রোববার উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতুলি এলাকার মেঘনা নদীতে এ জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটে। এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে তেলবাহ কার্গো জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। মাঝ পথে ঘনকুয়াশার কারনে তাদের জাহাজটি ধীরে ধীরে চালাচ্ছিল। এসময় পিছন দিক থেকে অপর একটি জাহাজ ধাক্কা দিলে জাহাজটির তলা ফেটে ডুবে যায়। পরে স্থানীয়রা ডুবে যাওয়া জাহাজে থাকা মাস্টার ও শ্রমিকসহ ১২ জনকে জীবিত উদ্ধার করেন।
উদ্ধার হওয়া জাহাজের একজন স্টাফ (৪০) সাংবাদিকদের বলেন, শনিবার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১১ লাখ লিটারের বেশি পেট্রোল ও ডিজেল লোড করে জাহাজটি চাঁদপুরের উদ্দেশে রওনা হয়। সারা পথ আমরা ভাল আসি। তুলাতুলির কাছে আসার পরে রাতে হঠাৎ কুয়াশা পড়ে। কুয়াশার কারণে আমরা গতি কমিয়ে দেই। তখন আরেকটা জাহাজ আমাদের জাহাজের ইঞ্জিন রুমের পাশে ধাক্কা দেয়। ওই জাহাজটির মাথা আমাদের ইঞ্জিন রুমের পাশে লাগে।
তিনি বলেন, তেলবাহী জাহাজ ডুবির ঘটনায় সেখানে ক্ষত হয়ে যায় এবং পানি ঢুকতে শুরু করে। পানি ঢুকতে ঢুকতে একসময় আমাদের জাহাজটি তলিয়ে যায়। তখন আমরা চিৎকার শুরু করি। কেউ আমাদের উদ্ধার করে না। একপর্যায়ে একটি লোড বলগেট আইস্যা আমাদের উদ্ধার করে।
জাহাজের তেল নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করে আরেকজন স্টাফ (৪৫) বলেন, “জাহাজ দুর্ঘটনার পরে তেল সব জেলেরা নিয়ে গেছে। আমরা জাহাজে ছিলাম ১৩ জন। আমরারে একটা বালুর ট্রলার এসে উদ্ধার করে। আমরা সবাই সুস্থ আছি।’
কোস্ট গার্ড কর্মকর্তা কে এম শাফিউল কিঞ্জল বলেন, খবর পেয়ে তারা সকালের দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। জাহাজের স্টাফদের তীরে নিয়ে আসা হয়েছে। স্থানীয়রা তেল নেওয়ার চেষ্টা করলে কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে সবাই সরে যায়। জাহাজটিকে উদ্ধারে চেষ্টা করা হচ্ছে।
নৌ-পুলিশ ও কোস্ট গার্ড মেঘনা নদী থেকে ডিজেল অপসারণের চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন ভোলার ইলিশা নৌ-পুলিশ থানার ইনচার্জ মো. আকতার হোসেন।