বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার দুপুরে বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মাদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। মোজাম্মেল হোসেন নামে এক ব্যক্তি এ রিট দায়ের করেন। হাইকোর্ট রিটকারীর আবেদনটি ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে ইসিকে বলা হয়েছে।
মোজাম্মেল হোসেন নিজেকে বিএনপিকর্মী হিসেবে দাবি করে থাকেন। হাইকোর্টে রিটের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন মেহেদী।
তিনি জানান, এই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আজ বুধবার নির্বাচন কমিশনকে বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে আদেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি রুল জারি করেছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশন সচিবকে একমাসের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আইনজীবী মমতাজ উদ্দিন মেহেদী বলেন, মোজাম্মেল হোসেনের দায়ের করা রিটে বলা হয়েছে, বিএনপির আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আমি বিএনপিতে যোগ দেই। কিন্তু বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্রের ৭ নং অনুচ্ছেদ বাতিল করায় আমি সংক্ষুব্ধ। ওই অনুচ্ছেদে বলা ছিল, দুর্নীতিপরায়ণ কোনো ব্যক্তি বা দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত কোনো ব্যক্তি বিএনপির কোনো পর্যায়ের নেতৃত্বে আসতে পারবে না। কিন্তু বিএনপি নেতাদের আশঙ্কা, বিএনপি চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন দুর্নীতর দায়ে দণ্ডিত হতে পারেন। এ আশঙ্কায় তারা গঠনতন্ত্রের ৭ অনুচ্ছেদ বাতিল করে সংশোধনী আনে এবং সংশোধিত গঠনতন্ত্র নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়।
বিলুপ্ত ৭ ধারায় বলা ছিল, দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত কেউ দলের নির্বাহী পদে থাকতে পারবেন না। ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ বিএনপির জাতীয় কাউন্সিলে কিছু সংশোধনীর প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। পরে এই ৭ নম্বর ধারাটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এই সংশোধনীসহ এ বছরের ২৮ জানুয়ারি বিএনপি তার গঠনতন্ত্র নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়।