রাজশাহী ও রংপুরের সব জেলাসহ দেশের ২১ জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ । এসব এলাকায় তীব্র ঠান্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন। সবচেয়ে বেশি শীতের মুখোমুখি যশোর ও চুয়াডাঙ্গার মানুষ। আগামী কয়েক দিন এ শীত পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রোববার (৮ জানুয়ারি) সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সকালে যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এটাই চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
গত কিছুদিন ধরে ঢাকাসহ দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে ঘন কুয়াশা পড়ছে। তাই মিলছে না রোদের দেখা। দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যায়। সঙ্গে উত্তরের বাতাস থাকায় দেখা দিয়েছে কনকনে ঠান্ডা। এরমধ্যে আবার তাপমাত্রা কমে শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা আরও কমার পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
গত চার-পাঁচদিনের মধ্যে কেবল শুক্রবার দুপুরে সূর্যের দেখা মিলেছিল ঢাকায়। রোববার সকালে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা একদিন আগে ছিল ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র শীতের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। ঘন কুয়াশায় বিঘ্ন ঘটছে যান চলাচলে। ঘটছে দুর্ঘটনা। দেখা দিচ্ছে নানা রোগ।
শনিবার দেশের ১১ জেলা ছাড়াও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছিল।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানান, রোববার টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, সাতক্ষীরা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ ও বরিশাল জেলায় গতকাল শৈত্যপ্রবাহ থাকলেও রোববার তা দূর হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে বজলুর রশিদ জানান, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
এসময় সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, দিন ও রাতের তাপমাত্রা পার্থক্য কমে যাওয়ার কারণে সারাদেশে মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি থাকতে পারে।
আগামী তিনদিনে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলেও জানান আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ।