বিবিসি উর্দুকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা ইমরান খান দাবি করেন, পাকিস্তানের অর্থনীতি ডুবে গেছে। পাকিস্তান একটি চোরাবালিতে আটকা পড়েছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র উপায় হলো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন।
ইমরান খান বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। রিজার্ভ আছে মাত্র চার বিলিয়ন ডলার। বন্দরে পণ্য পড়ে আছে কিন্তু খালাস করা যাচ্ছে না। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, বেকারত্ব বাড়ছে এবং কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।’
এ সময় ইমরান খান আরও দাবি করেন, একের পর এক মামলা দিয়ে তাকে রাজনীতি থেকে চিরতরে সরিয়ে দিতে চায় সরকার।
তিনি বলেন, ‘তারা তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টায় লিপ্ত। সাধারণ নির্বাচনেও যেন অংশ নিতে না পারি তারও বন্দোবস্ত করছে এ সরকার। প্রতিদিন নতুন নতুন মামলা ঠুকে দিচ্ছে আমার নামে।’
ইমরান খান বিবিসিকে জানিয়েছেন, এই সরকার কোনো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি। তিনি অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সংসদ সদস্যদের কেনাবেচার মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছেন। ২০-২৫ কোটি রূপি দিয়ে এমপিদের ভোট ক্রয় করেছিলেন বলে অভিযোগ করেন ইমরান খান।