আজ প্রিয়দর্শিনী মৌসুমীর জন্মদিন

বিনোদন ডেস্ক

প্রিয়দর্শিনী মৌসুমীর জন্মদিন আজ। এবারের জন্মদিনে মৌসুমী তার ভক্ত-দর্শকের জন্য সারপ্রাইজ নিয়ে আসছেন বলে জানান তিনি। তবে কী সেই সারপ্রাইজ তা জানতে হলে জন্মদিনের সন্ধ্যা পর্যন্ত সবাইকে অপেক্ষায় থাকার জন্য বিনীত অনুরোধও করেছেন তিনি। তবে মৌসুমী শুধু এতটুকুই বলেছেন, তার দীর্ঘদিনের একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে আজ। আর তার এই স্বপ্নের বাস্তবায়নে তারই পাশে সার্বক্ষণিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তার স্বামী চিত্রনায়ক ওমর সানী।

তবে জন্মদিন উপলক্ষে আজ প্রায় সারাটা দিনই কাটবে মৌসুমীর ব্যস্ততায়। ফেসবুকে অসংখ্য ভক্ত-দর্শকের ভালোবাসা আর শুভেচ্ছা বাণীতে মুগ্ধ হয়ে উঠবেন প্রিয়দর্শিনী। আবার তার কর্মস্থলের মানুষদের ভালোবাসায় সিক্ত হবেন তিনি। যেহেতু ছেলে ফারদিন পড়াশুনার জন্য দেশের বাইরে আছেন তাই মৌসুমী তার মা, স্বামী এবং কন্যা ফাইজাকে নিয়ে জন্মদিনের প্রথম প্রহরের শুভ সূচনাও করেছেন। তানজিনা সুলতানার উদ্যোগে মৌসুমীর ফ্যান ক্লাবের আয়োজনেও থাকছে বিশেষ একটি অনুষ্ঠান। সব মিলিয়ে এবারের জন্মদিন ফেলে আসা জীবনের অনেক জন্মদিন থেকে একটু অন্যরকম, অনেকটাই আলাদা এবং বিশেষায়িত হতে যাচ্ছে বলে জানান মৌসুমী। জন্মদিন প্রসঙ্গে মৌসুমী বলেন, আমি সাধারণত আয়োজন করে জন্মদিন উদ্যাপন করি না। আমার বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনরাই আমার জন্মদিনকে ঘিরে বিশেষ আয়োজন করে থাকে। আবার আমার ভক্তরাও বিশেষ আয়োজন করে থাকে। ভক্তদের চাওয়াটাকে অনেক প্রাধান্য দিয়ে থাকি। তবে এটাও সত্যি যদি কোনো উপলক্ষ থাকে তাহলে সেটাকে ঘিরে জন্মদিনে একটু বিশেষ আয়োজন করা হয়ে থাকে। এবার যেমনটা হচ্ছে। সবার কাছে দোয়া চাই আল্লাহ যেন আমাকে সুস্থ রাখেন, ভালো রাখেন। পরিবারের সবাইকে নিয়ে যেন ভালো থাকতে পারি।

মৌসুমী অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত দুটি সিনেমা হচ্ছে এ কে সোহেলের ‘পবিত্র ভালোবাসা’ এবং ইস্পাহানী আরিফ জাহানের ‘নায়ক’। আগামী ১৪ ডিসেম্বর মুক্তি পেতে যাচ্ছে হাবিবুল ইসলাম হাবিব পরিচালিত ‘রাত্রির যাত্রী’ সিনেমাটি। এরই মধ্যে তিনি রহমতুল্লাহ তুহিনের নির্দেশনায় বিদেশগামী যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যেও কাজ করেছেন। মৌসুমী স্বপ্ন দেখেন আমাদের চলচ্চিত্র আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনেক সুনাম অর্জন করবে। মৌসুমী বলেন, আমাদের দেশের অনেক তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা আছেন যারা অনেক মেধাবী। যথাযথ বাজেট পেলে তারা অনেক ভালো চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে পারবেন। যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ঢাকাই চলচ্চিত্রের সুনাম বয়ে নিয়ে আসতে পারবে। এরই মধ্যে কিছু কিছু চলচ্চিত্র বিভিন্ন উৎসবে পুরস্কৃত হচ্ছে। কিন্তু আমি চাই সেসব আন্তর্জাতিক পুুরস্কার লাভ করবে যা বিশ্ববাসীর কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য, এক নামেই যে পুরস্কারের কথা সবাই জানেন। আমি স্বপ্ন দেখি একদিন সেইদিন আসবে নিশ্চয়ই। আমার ছেলে ফারদিনকে নিয়েও আমি এমন স্বপ্ন দেখি, হয়তো সেই পুরস্কার তার হাত দিয়েও একদিন আসবে আমাদের দেশে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে