সাম্প্রদায়িক শক্তির গতি প্রতিরোধ করে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মোকতাদির চৌধুরী: সিরাজ উদদীন আহমেদ

মোহাম্মদ সজিবুল হুদা

স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট লেখক সিরাজ উদদীন আহমেদ বলেছেন, আমি কুমিল্লার কৃতিসন্তান (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) যিনি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে পাকিস্তান গণপরিষদে ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রস্তাব তুলেছিলেন, সেই ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। ১৯৭১ সালের ৩০ মার্চ পাক বাহিনী তাকে হত্যা করে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত এইজন্য যে এই এলাকার গর্বিত সন্তান মোকতাদির চৌধুরী ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের নামে সেতুর নামকরণ করেছেন। আধুনিক বরিশালের নির্মাতা অশ্বিনীকুমার দত্ত, যার নিজ বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত কলেজসহ এলাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাঁর নামে নামকরণ করতে আমি ব্যর্থ হয়েছি। কারণ সেখানে সাম্প্রদায়িক যে চেতনা, এটা অনেক প্রবল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও আমরা মাঝে মাঝে সাম্প্রদায়িক শক্তির আস্ফালন দেখি। এখানে সাম্প্রদায়িক শক্তির গতি প্রতিরোধ করে মোকতাদির চৌধুরী নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

বুধবার (১ মার্চ) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিনাইরে শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘১৮তম শিশু মেধাবৃত্তি ও শিশুমেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সিরাজ উদদীন আহমেদ বলেন, মার্চ স্বাধীনতার মাস। ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর সময়ে স্বাধীনতা দিবস হিসেবেই এ দিবসটি পালিত হতো। পরবর্তীতে সামরিক শাসকরা যখন ক্ষমতা দখল করলো স্বাধীনতাকে দুর্বল করার জন্য তারা জাতীয় দিবস হিসেবে পালিত করে। আজকেও এই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করা হয়। আমার দাবি হলো এটা স্বাধীনতা দিবস, জাতীয় দিবস নয়।

তিনি বলেন, মোকতাদির চৌধুরী আমাদের বয়সে ছোট হলেও তাঁর নেতৃত্বেই আমাদের সংগ্রাম। সেই এরশাদ বিরোধী আন্দোলন, খালেদা বিরোধী আন্দোলন, সব জায়গায় তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন, আমাদের সামনে রেখেছেন। বিশেষ করে জনতার মঞ্চে। হয়তো আওয়ামী লীগ ৫০০ বছর সংগ্রাম করেও ক্ষমতায় আসতে পারতো না। সেই জনতার মঞ্চের প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী সচিবালয়ে উপস্থিত। আমাদের ভবিষ্যৎ কর্মসূচি কী হবে? মোকতাদির চৌধুরী ও তাঁর সঙ্গীরা আমাকে মঞ্চে নিলেন। আমি একটু চিন্তা করলাম, কালকে আমার চাকরি নাই, সরকারি বাসভবন থেকে বিতাড়িত হবো। তারপরও বাংলার জনগণের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ভাষণ দিলাম যে, আমরা সরকারি কর্মচারী সত্ত্বেও আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য আমাদেরকে সংগ্রাম করতে হবে। অবৈধভাবে নির্বাচিত খালেদা জিয়া সরকারকে আমরা মানিনা। সারা বাংলাদেশে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়বে। ষোল লক্ষ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সেদিন বিএনপি সরকারকে প্রত্যাখ্যান করে এবং এর মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে।

বক্তব্য রাখছেন স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উদদীন আহমেদ।

স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত এই বুদ্ধিজীবী বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে জনতার মঞ্চের মামলা হয়। সেই সময় এডভোকেট কামরুল ইসলাম অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে কোর্টে মামলায় লড়েছেন। আমরা একএক দিন ভাবতাম, আজকেই বুঝি আমাদের হাজতে যেতে হবে। জনতার মঞ্চের মামলায় আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল রাষ্ট্রদ্রোহিতার। মহিউদ্দিন খান আলমগীর, শফিউর রহমান, মোকতাদির চৌধুরী, আবু আলম, আমি(সিরাজ উদদীন আহমেদ), মহিউদ্দিন চৌধুরী, পুলিশের সৈয়দ করিম এরা জনগণকে উত্তেজিত করে বিএনপি সরকারের পতন ঘটিয়েছে। আমাদের বেশ কয়েকশ পুলিশ অফিসার, উপসচিব, যুগ্মসচিব এদেরকে চাকরিচ্যুত করে। সেই ইতিহাসটা আমাদের সংরক্ষণ করা উচিত। আমাদের সবচেয়ে বেশি যেটা সংরক্ষণ করা প্রয়োজন সেটা হলো- দেশাত্মবোধক ও দেশপ্রেম।

তিনি বলেন, মোকতাদির চৌধুরী আমার প্রতি অনেক শ্রদ্ধা জানান। আমি বাংলাদেশ সরকারের স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছি। এই পুরস্কারের পেছনে তারও কিন্তু অবদান আছে। আমাকে পুরস্কার প্রদানের ক্ষেত্রে তিনটা বিষয় বিবেচনা করা হয়েছে। একটা হলো- বরগুনার এসডিও থাকাকালীন ১৫ আগস্ট আমি পুলিশ, রক্ষীবাহিনী ও জনগণকে নিয়ে বিদ্রোহ করেছিলাম। দ্বিতীয় হলো-জনতার মঞ্চ। জনতার মঞ্চে মোকতাদির চৌধুরী আমাকে ডায়াচে নিয়ে গিয়েছিলেন। তৃতীয় হলো বঙ্গবন্ধুর জীবনীগ্রন্থ রচনা। আমার লেখা বইটা সবচেয়ে বড় এবং এই বইটা প্রকাশ করেছে ইসলামি ফাউন্ডেশন। ইসলামি ফাউন্ডেশনে আমি গভর্নর ছিলাম, মোকতাদির চৌধুরী আমাকে সেখানে গভর্নর হওয়ার জন্য প্রস্তাব করেছিলেন।

প্রধান অতিথি স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উদদীন আহমেদের সম্মাননা স্মারক তুলে দিচ্ছেন চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

সিরাজ উদদীন আহমেদ বলেন, মোকতাদির চৌধুরীর যে উদ্ভাবনী শক্তি, তা-কিন্তু অপূর্ব। আমি দশ-বার বছর পূর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসেছিলাম, আর গতকাল এসে যা দেখলাম তা এককথায় অপূর্ব। বঙ্গবন্ধু ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের কথা বলেছিলেন। জেলা প্রশাসন, জেলা গভর্নর, তৃণমূলে যাবে ক্ষমতা। আমি মনে করি, মোকতাদির চৌধুরী বাংলাদেশের একমাত্র অনন্য উদাহরণ, তিনি জননেতা।

তিনি বলেন, শিশুর মেধা বিকাশের জন্য তিনি যে ফাউন্ডেশন করেছেন, এটা অপুর্ব। শিশু যে অধিকার সেগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এখন পর্যন্ত তেমন পদক্ষেপ নিতে পারেনি। কারণ সেরকম মেধার লোকের অভাব রয়েছে।

১৮তম শিশু মেধাবৃত্তি ও শিশুমেলা-২০২৩ এর উদ্বোধন করছেন অতিথিবৃন্দ।

জনতার মঞ্চের এই সংগঠক আরও বলেন, ১৯৯৬ সালের জুনে যখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলো, মোকতাদির চৌধুরী তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সচিব। আমরা সেসময় অনেক সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। যেমন ১৯৯৬ সালের ১৫ আগস্ট, এই দিবসটি কীভাবে পালিত হবে। সংসদে তখন বিএনপি ১৪০টির মতো আসন। মোকতাদির চৌধুরী আমাকে বললেন এই দিবসটি পালন করতে হবে। আমি বললাম যে, কেবিনেট থেকে এটার নির্দেশ আসতে হবে। আমাদের সচিব মোকতাদির চৌধুরী কেবিনেট সচিবকে বললো এবং এটা জাতীয় শোক দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে সর্বপ্রথম পালন করা হলো ১৯৯৬ সালের ১৫ আগস্ট।

তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবস পালিত হবে, মোকতাদির চৌধুরী বললেন প্রধানমন্ত্রী এটার সাথে শিশুদিবসটা যুক্ত করতে চান। আমরা বাংলাদেশে প্রথম বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবস ও শিশুদিবস ঢাকার শিশু একাডেমিতে পালন করি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোকতাদির চৌধুরীর যে অপূর্ব স্বপ্ন সেটা কিন্তু অনেক জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে নেই। দশ বছর আগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া আর বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া আকাশপাতাল পার্থক্য। মোকতাদির চৌধুরী আধুনিক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্মাতা।

শিশুমেলায় প্রদর্শন করা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী পুতুল নাচ।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ছিলো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। শোষণ মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, যে সমাজে মানুষে মানুষে বৈষম্য থাকবে না। আমরা যখন লড়াইয়ের ময়দানে যাই তখন আমরা একবারের জন্যও ভাবিনি, আমরা জীবিত ফিরে আসব। এই যে চ্যালেঞ্জ ও অনিশ্চয়তাকে মোকাবিলা করা, এইটা হলো তারুণ্যের ধর্ম।

বক্তব্য রাখছেন শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।

মোকতাদির চৌধুরী বলেন, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক বললতেন বাঙালিদের এক পাল্লায় আনা যায় না, কারণ তারা হলো ব্যাঙের মতো। কিন্তু বঙ্গবন্ধু বিপরীত একটা অবস্থান তৈরি করলেন। সমস্ত বাঙালিরা এক পাল্লায় উঠলেন এবং একত্রিত হয়ে দেশটা মুক্ত করলেন।

শিশুদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমরা যারা ভবিষ্যতের নাগরিক, তারা তোমাদের বাবা, চাচা, দাদা যারা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন তাদের কাছ থেকে দেশপ্রেমের শিক্ষা নাও এবং নিজেদের মধ্যে দেশাত্মবোধক জাগ্রত করো।

শিশু মেধাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশনের সভাপতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ফাহিমা খাতুন বলেন, শিশু মেধা বৃত্তি প্রদানে ক্ষেত্রে আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো বাচ্চারা যেন নির্ভীকভাবে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারে। প্রতিযোগিতাটাকে যেন আনন্দের মধ্যে নেয় সেজন্যই আমরা অনুষ্ঠানের আয়োজন করি। এই অনুষ্ঠানটি মার্চে করার উদ্দেশ্য হলো- শিশুদের মধ্যে দেশাত্মবোধক জাগ্রত করা। অনুষ্ঠানে শিশুরা এমন একজনকে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি হিসেবে দেখবে, যাদেরকে দেখে তারা অনুপ্রাণিত হবে দেশপ্রেমে এবং ভালো মানুষ হওয়ার জন্য। এই দুটো উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই আমরা বৃত্তি প্রদানের অনুষ্ঠানটি চালাচ্ছি।

বক্তব্য রাখছেন শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশনের সভাপতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ফাহিমা খাতুন।

তিনি বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চেতনা ছড়িয়ে দিতে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে এবং তাদের মধ্যে মানবতাবোধ জাগিয়ে তুলতে আমরা আরও বেশকিছু পদক্ষেপ নিব। অর্থাৎ তাদের মধ্যে সংস্কৃতির বিকাশের জন্য আমরা বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করব উপজেলা থেকে জেলা পর্যায় পর্যন্ত।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চিনাইরে শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে উৎসব মুখর পরিবেশে আজ বুধবার চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অনার্স কলেজ মাঠে শিশু মেধাবৃত্তি ও শিশু মেলার আয়োজন করা হয়।

শিশুমেলায় পাঠকপ্রিয় পত্রিকা মত ও পথ-এর স্টল।

চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ফাহিমা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উদদীন আহমেদ, উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।

শিশুমেলায় সাপের খেলা প্রদর্শন।

এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার মোর্শেদা চৌধুরী।

শিশুমেলায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠার স্টল।

এবছরর মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় জেলার ৯টি উপজেলার ২ হাজার ৬৩জন নিবন্ধিত শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৭৭৮জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে ৫৭জন টেলেন্টপুলে এবং ১৩৭জন সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছে এবং উপজেলা কোটায় বৃত্তি পেয়েছে ৫জন।

এবছর প্রতিষ্ঠান র‍্যাংকিং যুগ্মভাবে প্রথম স্থান অধিকার করেছে অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়,ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও ইমাম প্রি-ক্যাডেট স্কুল, কসবা। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে সূর্যমুখী কিন্ডারগার্টেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর। তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে সিডিসি কসবা।

ফ্রি মেডিকেল টিমের কাছ থেকে সেবাগ্রহণ করছেন সেবা প্রার্থীরা।

শেয়ার করুন