সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে লেনদেনে বেশ ভালো গতি রয়েছে। পাশাপাশি দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। তবে এর মধ্যেও প্রায় ১০০ প্রতিষ্ঠান ক্রেতা সংকটে পড়েছে।
প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৪০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে। এতে প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। আর লেনদেন হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা।
অবশ্য এরপরও বাজারটিতে প্রায় ১০০ প্রতিষ্ঠান ক্রেতা সংকটের মধ্যে পড়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দিনের সর্বনিম্ন দামে বিপুল বিক্রির আদেশ আসলেও ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়েছে।
একদিকে ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়া, অন্যদিকে দিনের সর্বনিম্ন দামে এসব প্রতিষ্ঠানের বিপুল বিক্রির আদেশ আসায় যাদের কাছে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট আছে তারা তা বিক্রি করতে পারছেন না।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। তবে এ বাজারটিতে লেনদেনে কিছুটা ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৪ হয়ে পড়ে। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রথম আধাঘণ্টা জুড়েই অব্যাহত থাকে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টা ৩২ মিনিটে ডিএসইতে ৮৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৬টির। আর ১০২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এর মধ্যে ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়েছে ৯২ প্রতিষ্ঠানের।
এতে ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছে ৭ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ২ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক বেড়েছে ২ পয়েন্ট। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ৬০ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৪৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির।