কত নামেই তো তাকে ডাকা হতো- লর্ড, স্যার, ডন… কিন্তু এসবই ছিল বাজে ট্রোল করার অস্ত্র। একটা সময় এসব তার মনোজগতে প্রভাব ফেলত। পরিবারের সদস্যরা বিব্রত হতেন। ‘অসহায়’ নাজমুল হোসেন শান্ত লড়াই করে যেতেন নিজেকে প্রমাণের। বিপিএলের নবম আসরে ইতিহাসের প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে পাঁচ শতাধিক রান করে দিলেন তার প্রমাণ।
জাতীয় দলের নির্বাচকেরা তার ওপর আস্থা রেখেছিলেন। প্রবল সমালোচনা সত্ত্বেও ম্যাচের পর ম্যাচ সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তারই প্রতিদান আজ সুদে আসলে উসুল করে দিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। হয়ে উঠলেন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার ঐতিহাসিক সিরিজের সেরা খেলোয়াড়। তিন ম্যাচের এই সিরিজে সর্বোচ্চ ১৪৪ রান করেছেন শান্ত। গড়টা চমকে ওঠার মতো- ১৪৪.০০! আর হবে নাই বা কেন? চট্টগ্রামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে রান তাড়ায় নেমে খেললেন ৩০ বলে ১৭০ স্ট্রাইকরেটে ৫১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। তার স্ট্রাইকরেট নিয়ে যেটুকু সমালোচনা ছিল, এক তুড়িতে সব উড়িয়ে দিয়ে প্রমাণ করলেন- তিনিও পারেন।
দ্বিতীয় ম্যাচে ঠিক তার বিপরীত রূপ দেখা গেল শান্তর। ইংলিশদের দেওয়া ছোট্ট টার্গেট তাড়ায় নেমে দলের চাহিদা অনুযায়ী ৪৭ বলে অপরাজিত ৪৬ রান করে সিরিজ জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন। এতে আরও একটা বিষয় প্রমাণ হলো যে, দল শান্তকে যে দায়িত্ব দেয়, সেটাই তিনি পালন করেন। আজ হোয়াইটওয়াশের ম্যাচেও হাসল শান্তর ব্যাট। খেললেন ৩৬ বলে ৪৭* রানের অপরাজিত ইনিংস। তিন ম্যাচের দুটিতেই তাকে আউট করতে পারেনি ইংলিশরা। শান্তর হাতে উঠল সিরিজসেরার পুরস্কার। সেদিনের ‘লর্ড’ শান্ত আজ হয়ে উঠলেন বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ধোলাই করার নায়ক।