নিত্যপণ্যের দাম কমাতে বরাদ্দ বাড়ছে, বাজারে স্বস্তি দিতে পারে বাজেট

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় সহনীয় করতে আগামী বাজেটে রেকর্ড পরিমাণ ভর্তুকি বরাদ্দ দিতে যাচ্ছে সরকার। এতে ভোগ্য ও নিত্যপণ্যের দাম কমানোর পদক্ষেপ থাকবে। বাড়ানো হবে কৃষি উৎপাদন। এ ছাড়া দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করে কর্মসংস্থান বাড়ানোর মতো কর্মসূচি নেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে ভর্তুকি ও নগদ প্রণোদনা খাতে প্রায় ৩৫ শতাংশ ব্যয় বাড়িয়ে ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রাক্কলন করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, আগামী বাজেটের মাধ্যমে দেশের মানুষকে স্বস্তি দেওয়া হবে। এজন্য নতুন বাজেটের আকারও বাড়ানো হচ্ছে। প্রায় পৌনে ৮ লাখ কোটি টাকার রেকর্ড বাজেট প্রণয়নের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে অর্থবিভাগ। আগামী ১ জুন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী। এর আগে ৫ এপ্রিল বাজেট ব্যবস্থাপনা ও সম্পদ কমিটির বৈঠকে বাজেটের রূপরেখা চূড়ান্ত হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ প্রদানের শর্তগুলোর চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে আগামী বাজেটে ভর্তুকি ও নগদ প্রণোদনা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি করা হবে দেশের মানুষকে স্বস্তি দিতে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো দেশেও ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে গেছে।

এ অবস্থায় আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশে যাতে আর মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি বা জিনিসপত্রের দাম না বাড়ে, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, চলতি বাজেটের চেয়ে প্রায় সাড়ে ১৩ শতাংশ বাড়িয়ে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে প্রণয়ন করা হচ্ছে। এতে বাজেটের আকার হবে প্রায় ৭ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকার মতো। তবে চলতি অর্থবছরের তুলনায় বাড়তি ব্যয়ের অধিকাংশ যাবে ঋণের সুদ পরিশোধ ও ভর্তুকিতে। পক্ষান্তরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ বাড়ানোর প্রাক্কলন করা হয়েছে ৬ শতাংশ।

এসব প্রসঙ্গে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ বলেন, ভর্তুকি ও প্রণোদনা বাড়িয়ে হয়তো সরকার জনগণকে স্বস্তি দিতে চাচ্ছে। যেভাবে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, তাতে জনবান্ধব বাজেট প্রণয়ন করা খুব জরুরি।

শেয়ার করুন