মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী যাকে ইচ্ছা তাকেই মুক্তিযুদ্ধের খেতাব দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোশাররফ হোসেন এমপি। তিনি বলেছেন, জেনারেল ওসমানীকে বঙ্গবন্ধু ভালোবাসত। তার ওপরে সব দায়িত্ব দিয়েছিলেন। বীর উত্তম, বীর বিক্রম সবকিছু। তিনি যাকে পেয়েছেন, তাকেই দিয়েছেন। এর কোনো হিসাব ছিল না।
রোববার (৯ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১৪৭ বিধিতে উত্থাপন করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত শুক্রবার জাতীয় সংসদে স্মারক বক্তব্য দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
জেনারেল ওসমানী তার প্রতিষ্ঠিত জাতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিতে মোশাররফ হোসেনকে আমন্ত্রণ জানান বলে দাবি করেন তিনি। মোশাররফ হোসেন বলেন, তিনি (ওসমানী) আমাকে টেলিফোন করে বলে, ‘আমি জনতা লীগ (জাতীয় জনতা পার্টি হবে) করেছি, আপনি আমার দলে থাকবেন।’ আমি বললাম, ‘কী বললেন? আমিতো দল করি। আমাকে জিজ্ঞেস করে কোন দল করেন? আমি বললাম আওয়ামী লীগ করি। সে আমাকে বলে আওয়ামী লীগ কি এখনো আছে?’
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কিছু কথা আছে। আজকে কিছু বললাম না। বিতর্কিত হয়ে যাবে। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রীকে কিছু বলেছি। এই মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত হয়েছে। বিকৃত করেছে কে? জেনারেল ওসমানী। এটা আমি বলতে চাই।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন বলেন, আমি প্রশিক্ষণ নিয়ে যুদ্ধ করেছি। ভেতরে ঢুকেছি। আমি দুইবার আক্রান্ত হয়ে বেঁচে গিয়েছি। আজকে সেই কথা আর নাই বললাম।
বর্ষীয়ান এ সংসদ সদস্য আক্ষেপ করে বলেন, আমার আক্ষেপ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে দেশে কোন প্রতিবাদ হয়নি। আমরা অঝোরে কেঁদেছি। আমাদের হাতে কিছুই ছিল না। কিছুই করতে পারিনি। মুক্তিযোদ্ধাদের হাতিয়ার ছিল না, কিছুই ছিল না। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পরে আমরা সংগঠনকে শক্তিশালী করেছি।