ঈদ উপলক্ষ্যে গত সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার পুঁজিবাজার বন্ধ ছিল। বিদায়ী সপ্তাহে চার কর্মদিবস ঊর্ধ্বমুখী ধারায় পুঁজিবাজারে লেনদেনে হয়েছে। দাম কমার পরিবর্তে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের বেড়েছে। বেড়েছে লেনদেন ও সূচক।
আর তাতে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন (পুঁজি) ফিরেছে ২ হাজার ১৬৮ কোটি ৭১ লাখ ৬০ হাজার ১৮৮ টাকা। সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে এ চিত্র দেখা গেছে। প্রায় একই চিত্র দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৮৮৮ কোটি ৯৭ লাখ ৯৯ হাজার ২৬ টাকা। আর শেষ দিন বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬৬ হাজার ৫৭ কোটি ৬৯ লাখ ৫৯ হাজার ২১৪ টাকা। অর্থাৎ টাকার অংকে পুঁজি বেড়েছে ২ হাজার ১৬৮ কোটি ৭১ লাখ ৬০ হাজার ১৮৮ টাকা।
গেল সপ্তাহে মোট চার কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছে। এ সময়ে ডিএসইতে মোট ৩৮৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৩৩টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২৩৮টির। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল ৭৮টির, কমেছিল ৪৪টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২৫০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
তাতে বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৪৫ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৭৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক ১৩ দশমিক ৫০ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৬২ পয়েন্টে ও ডিএস-৩০ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৫ দশমিক ৭২ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২০৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এ সপ্তাহে ফ্লোর প্রাইসের কারণে শেয়ার লেনদেন হয়নি ২ শতাধিক কোম্পানির। তারপরও বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৯৯৮ কোটি ৭০ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬৫ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪৭৫ কোটি ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৯৫২ টাকা। অর্থাৎ ১ হাজার ৫২৩ কোটি ৬৭ লাখ ১১ হাজার ৫১৩ টাকার শেয়ার লেনদেন বেড়েছে, শতাংশের হিসাবে ১০৩ দশমিক ৩০ শতাংশ।
গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনিক হোটেলের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে লেনদেন হয়েছে- ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ার, জেনেক্স ইনফোসিস, রয়েল টিউলিপ সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, এপেক্স ফুটওয়্যার, আমরা নেটওয়ার্কস, জেমিনি সি ফুড, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন ও ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেডের শেয়ার।
দেশের অপর পুঁজিবাজার সিএসইতে লেনদেনেও প্রায় একই চিত্র ছিল। বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক ১১৩ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৪৬৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে লেনদেন হয়েছে ৩২ কোটি ৬৩ লাখ ৯১ হাজার ৭৫৬ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২২ কোটি ৪৬ লাখ ৩৪ হাজার ৭৯৩ টাকা।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৯০টির, কমেছে ৩১টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১২৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।