১০ বছর আগে রাজধানীর খিলক্ষেতে কলেজছাত্রী মনিরা পারভীনকে হত্যার দায়ে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন মনিরার স্বামী নাসির হোসেন। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮–এর বিচারক মাফরোজা পারভীন আজ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রেজাউল করিম। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পাঁচ আসামি হলেন নাসিরের ভাই মাসুদ, বড় বোন হাসিনা খাতুন ও তার স্বামী মিলন, মিলনের ভাই দেলোয়ার হোসেন এবং নাসিরের চাচা দ্বীন ইসলাম। রায় ঘোষণার পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
খিলক্ষেতের বড়ুয়া পশ্চিম পাড়ার লাহনিয়ায় ২০১৩ সালের ২১ জুন খিলক্ষেত নিকুঞ্জ মডেল কলেজের ছাত্রী মনিরাকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় ১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেন মনিরার বাবা অটোরিকশাচালক মো. মোস্তফা।
মামলার এজাহার ও পরিবারের বক্তব্য অনুযায়ী, এলাকার প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান নাসির উদ্দিন ২০১৩ সালের ১৮ জুন মনিরাকে গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের পর দুজনই ছিলেন আত্মগোপনে। বিষয়টি জানাজানি হলে নাসিরের পরিবার মনিরার পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। কিন্তু মনিরার দরিদ্র পরিবারের পক্ষে তা দেওয়া সম্ভব ছিল না। এরই মধ্যে গত ২১ জুন মনিরাকে নিয়ে নাসির বাসায় যান। তখনই নাসিরের স্বজনেরা মনিরার ওপর হামলে পড়েন।