বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার তৈরি করতে হবে। যেখানে জবাবদিহিতা থাকবে, দায় থাকবে। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সে সংগ্রামে জয়ী হতে চাই।
বুধবার (৩১ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, দেশের এখন ক্রান্তিকাল চলছে। অর্থনীতির এতো খারাপ সময় আগে আর আসেনি। ইদানিং পত্রিকায় খবর এসেছে, আমেরিকা থেকে নাকি প্রচুর রেমিট্যান্স এসেছে। কিন্তু আমেরিকায় যারা যায়, তারা দেশে এসে কোনো বিনিয়োগ বা লগ্নি করে না।তারা সেখানেই থাকে, প্রয়োজনে এখানকার বাড়িঘর বিক্রি করে দেয়। আমেরিকা থেকে রেমিট্যান্স আসার মূল কারণ হচ্ছে, যারা কোটি কোটি টাকা পাচার করে সে দেশের বিভিন্ন স্থানে রেখেছিল, দেখা যাচ্ছে সেটা এখন নিরাপদ নয়। বিভিন্ন সরকারি সংস্থা খোঁজখবর নেওয়া শুরু করায় সেসব পাচার করা টাকা দেশে পাঠানো শুরু করেছে। সরকার আবার ঘোষণা দিয়েছে, পাচার করা টাকা ফেরত আনলে নাকি আড়াই পার্সেন্ট ইনসেন্টিভ দেওয়া হবে। স্বাধীনতার ৫২ বছর পর এসে আমাদের আজ এসব দেখা লাগছে।
তিনি বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে এখনো গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। অনেক প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ শহীদ হয়ে গেছেন। যেসব কর্মী রাজপথে রক্ত দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে দিনের পর দিন হয়রানি করা হচ্ছে। সেই ওয়ান ইলেভেনের সময় যে মামলাগুলো দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো আজও উঠিয়ে নেওয়া হয়নি। অথচ আওয়ামী লীগ তাদের নিজেদের মামলা নিষ্পত্তি করে ফেলেছে।
বিএনপির প্রতি তাদের অত্যাচারের সীমা ছাড়িয়ে গেছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, আর নয়, এখন আর ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় এখন বেরিয়ে আসতে হবে। ভয়কে জয় করে এদের পরাজিত করতে হবে এবং একটি গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যেখানে সাংবাদিকরা লিখতে পারবে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা করা হবে না। সত্য লেখার জন্য কাউকে হত্যা করা হবে না। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাবি আদায় করে নিতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী।