একাদশ জাতীয় সংসদে তৃতীয় লিঙ্গের অন্তত ৮ জন প্রতিনিধি নিশ্চিত করার দাবি তোলা হচ্ছে। সংরক্ষিত নারী কোটায় তাদের মনোনয়ন দেওয়া যেতে পারে বলে মত তাদের।
আগামী সপ্তাহে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করবে হিজড়া ও যৌন সংখ্যালঘুদের সংগঠন কমিউনিটি বেইজড অর্গানাইজেশন- সিবিও। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
সিবিওর সভাপতি ও চট্টগ্রামের ‘সূর্যের আলো হিজড়া সংঘের’ সভাপতি ফাল্গুনী হিজড়া বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে কথা বলছেন। তিনি নিজেও চট্টগ্রাম বিভাগের হয়ে সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য হতে আগ্রহী।
ময়মনসিংহের তালিকায় আছেন ‘সিঁড়ি সমাজকল্যাণ সংস্থা’র সভাপতি ময়ূরী হিজড়া, সিলেটে ‘হিজড়া কল্যাণ সংস্থা’র সভাপতি সুন্দরী হিজড়া, রংপুরে ‘ন্যায় অধিকারের’ সভাপতি নাদিরা হিজড়া, রাজশাহীতে ‘দিনের আলো হিজড়া সংঘের’ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পলি হিজড়া। এর বাইরে বরিশালে ‘লিংকআপ সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’র ও ঢাকার ‘সচেতন সমাজসেবা হিজড়া সংঘের’ সভাপতির কথা তালিকায় রয়েছে।
খুলনা বিভাগ থেকে সংগঠনের তালিকায় শীর্ষে ‘ছিন্নমূল মানবকল্যাণ সোসাইটি’র সভাপতি পাখি হিজড়া।
কমিউনিটি বেইজড অর্গানাইজেশন- সিবিওর সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন বলেন, আট বিভাগে আমাদের এই সংগঠনের আটজনকে সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি হিসেবে নিতেই হবে। সংসদে আমাদের প্রতিনিধি থাকলে আমাদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত হবে।
চট্টগ্রামের ফাল্গুনী হিজড়া বলেন, সরকারপ্রধানের কাছে আবেদন করা হয়েছে। আরও যার যার সঙ্গে দরকার কথা বলব।
সরক্ষিত নারী আসনের পদপ্রার্থী পাখি হিজড়া বলেন, আমরা সমাজে নানাভাবে বঞ্চিত। মহান জাতীয় সংসদে আমাদের প্রতিনিধিত্ব থাকলে এত বড় একটি সম্প্রদায়ের জন্য কথা বলার সুযোগ হবে। আমরা অন্য লিঙ্গের মানুষের মতো সুন্দর পরিবেশে সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচতে চাই।
ময়ূরী হিজড়া বলেন, আমাদের ফোরাম থেকে সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানানো হয়েছে। আশা করছি, আমাদের দাবি মোতাবেক আটটি বিভাগে একজন করে প্রতিনিধি জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনে এমপি হবেন।
প্রসঙ্গত, সিবিওর তথ্যমতে, সারা দেশে প্রায় দেড় লাখ হিজড়া রয়েছে। তবে সরকারি হিসাবে এই সংখ্যা ২৫ থেকে ৩০ হাজার।