আদালত বহুল আলোচিত মেজর জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলায় অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ আগামী ১৭ জানুয়ারি ধার্য করেছেন।
আজ রোববার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এসএম প্রদীপ কুমার রায় নতুন এই তারিখ ঠিক করেন।
এদিন মামলাটিতে প্রতিবেদন দাখিলের ধার্য দিনে তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ সময় প্রার্থনা করেন।
২০১৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পুনঃযুক্তিতর্কের ধার্য দিনে রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটির তদন্তেÍ কিছু ত্রুটি উল্লেখ করে অধিকতর তদন্তের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে ওই বছর ২২ এপ্রিল প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেন।
এর আগে মামলাটিতে ওই বছর ২২ জানুয়ারি ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হোসনে আরা বেগম রায় ঘোষণার জন্য ১০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছিলেন।
কিন্তু এর মধ্যে ওই বিচারক বদল হওয়ায় নতুন বিচারক রায় থেকে পুনরায় যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য ২৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
মামলায় এরশাদ ছাড়াও মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক, লে. কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূইয়া, মেজর জেনারেল (অব) আব্দুল লতিফ ও লে. কর্নেল (অব) শামসুর রহমান শামসও আসামি।
মামলাটিতে আসামি আব্দুল লতিফ ও শামসুর রহমান শামস বিষয়ে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকায় এরশাদ, কাজী এমদাদুল হক ও মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূইয়া বিরুদ্ধে বিচার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩২ বছর আগে সংঘটিত এই হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রায় ১৮ বছরে ১২ জন বিচারকের হাত ঘুরে বর্তমান বিচারক হোসনে আরা আক্তার রায় ঘোষণা করতে যাচ্ছেন। এক বছরেরও বেশি সময় আগে মামলাটির ৪৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত করে আদালত। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হওয়ার পর গত বছর ২ অক্টোবর আত্মপক্ষ শুনানি হয়। এরপর শুরু হয় যুক্তিতর্ক।
১৯৮১ সালের ১ জুন জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। তারপর
১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জেনারেল মঞ্জুরের বড়ভাই আবুল মনসুর আহমেদ বাদী হয়ে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় এই মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ১৫ জুলাই তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।