সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নেতারা বলেছেন, যখন ‘জোটের সবাই রাজি হবেন এবং শর্তসমূহ’ মিলে যাবে তখনই ইউক্রেন ন্যাটোয় যোগ দিতে পারবে। এক বিবৃতিতে ন্যাটো জানিয়েছে, দ্রুত আগানো দরকার তা অনস্বীকার্য, তবে এরজন্য নির্ধারিত সময় বলা হচ্ছে না। খবর: বিবিসি’র
অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ন্যাটোর সদস্যভুক্তিতে বিলম্বকে ‘অযৌক্তিক’ আখ্যায়িত করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি মনে করছেন, দিনতারিখ না উল্লেখ করাটা ইউক্রেনের জন্য হিতে বিপরীত হবে। এর আগে জেলেনস্কি বলেন, মনে হচ্ছে না ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করা বা সদস্য হতে আমন্ত্রণ জানানোর কোনো প্রস্তুতি রয়েছে। তিনি বর্তমানে লিথুনিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে আছেন, যেখানে ন্যাটো সম্মেলন চলছে।
ইউক্রেন বুঝে গেছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলাকালে ন্যাটোর সদস্যপদ পাবে না দেশটি। তবে নবগঠিত যে ‘ন্যাটো-ইউক্রেন কাউন্সিল’, এর মাধ্যমে কিয়েভ চাইলে পৃথিবীর শক্তিশালী সামরিক জোটটির সব দেশের সঙ্গেই বৈঠক করতে পারবে।
ন্যাটোর কিছু সদস্য রাষ্ট্র ইউক্রেনকে সদস্য করা হলে রাশিয়া যুদ্ধটাকে আরও দীর্ঘস্থায়ী করার মওকা পেয়ে যাবে বলে মনে করছে।
তবে আশা ছাড়ছেন না জেলেনস্কি। ভিলনিয়াসে প্রচুর লোকজনের উপস্থিতিতে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, ‘ন্যাটো ইউক্রেনকে নিরাপত্তা দেবে। ইউক্রেন ন্যাটোকে আরও শক্তিশালী করবে।’