দেশের মৎস্যক্ষেত্র একটি লাভজনক সেক্টরে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সকালে ওসমানী মিলনায়তনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্পিকার শিরিন শারমিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত একটি প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের দৃঢ় প্রত্যয়ে ‘নিরাপদ মাছে ভরব দেশ, গড়ব স্মার্ট বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবারের জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৩ উদযাপন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর একান্ত আগ্রহ এবং কার্যকর দিক নির্দেশনায় মৎস্যক্ষেত্র একটি লাভবান সেক্টরে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও মাছ ধরেন।
তিনি বলেন, জেলেদের উন্নয়নে সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তাবায়ন করছে, যা অধিক মৎস্য উৎপাদনকে বহুগুণে বৃদ্ধি করছে। এর ফলে প্রতিবছর মাছের উৎপাদন ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে মোট মাছের উৎপাদন ৪৭ দশমিক ৫৬ লাখ মেট্রিক টন, যা ২০০৭-০৮ সালের মোট উৎপাদনের চেয়ে ৮৫ শতাংশ বেশি। মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী দেশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে ২.৬ লাখ মেট্রিক টন চিংড়ি উৎপাদন হয়েছে। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচি দেশের জনগণকে মৎস্য সম্পদের গুরুত্ব উপলব্ধি এবং এ খাতের শ্রম ও অর্থ বিনিয়োগে উৎসাহিত করবে।
শিরিন শারমিন বলেন, ইলিশ আহরণে বাংলাদেশ বিশ্বে ১১টি দেশের মধ্যে শীর্ষে। ২০২১-২২ অর্থবছরে ইলিশ আহরণ হয় ৫.৬৭ লাখ মেট্রিক টন, যা ২০০৮-০৯ অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ৮৯ শতাংশ বেশি। বর্তমান সরকারের বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপের কারণে রুই জাতের মাছে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি পাঙাশ, তেলাপিয়া, কই, পাবদা, শিং, মাগুরসহ দেশীয় প্রজাতির মাছ উৎপাদনের ক্ষেত্রেও নিরব বিপ্লব সাধিত হচ্ছে।
এসময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমরা স্মার্ট মৎস্য সেক্টর গড়ে তুলতে চাই। মাছের উৎপাদন, বিপণন, প্রক্রিয়াকরণ, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে সরকার কাজ করছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে ৫২টি দেশে মাছ রপ্তানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে। নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত মাছ রপ্তানির লক্ষ্যে দেশে তিনটি আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি পরিচালিত হচ্ছে।