নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইরে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। ১৯ আগস্ট (শনিবার) রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত মাসদাইর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে থেকে ঈদগাহ পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় এই তাণ্ডব চালায় তারা।
এসময় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা আওয়ামী লীগের অফিসসহ রেস্টুরেন্ট, মুদি দোকান ও বাসাবাড়িতে লুটপাট চালায়। সেইসঙ্গে রূপগঞ্জ থানার এসআই মারুফসহ অন্তত ১০ থেকে ১২জনকে কুপিয়ে আহত করে।
আহতদের খানপুর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম জানা যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, রাত ৯টায় নেসার ও সাব্বির তাদের বাহিনীর অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী নিয়ে মাসদাইর তালা ফ্যাক্টরি এলাকায় তাণ্ডব চালায়। এসময় ১৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অফিস ভাংচুর করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ছবিসহ চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করা হয়। এরপর তারা সড়কের পাশে বেশ কয়েকটি দোকান, রেস্টুরেন্ট ও বাসাবাড়িতে হামলা চালায়। এসময় সড়কে যাকে কাছে পেয়েছে তাকেই কুপিয়ে জখম করেছে উন্মত্ত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।
এর মধ্যেই রূপগঞ্জ থানার এসআই মারুফ সাদা পোশাকে মোটরসাইকেলে ফতুল্লা থানা থেকে রূপগঞ্জ যাওয়ার পথে মাসদাইর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের কাছে পৌঁছালে ওই সন্ত্রাসীরা তার হাতে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এ ঘটনায় এক কিলোমিটার এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
মাসদাইর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ সংলগ্ন বেইক এন্ড বিন রেস্টুরেন্টের মালিক রক্সি বলেন, আমার রেস্টুরেন্টে অনেক গেস্ট ছিল। সন্ত্রাসীরা তখনই এসে হামলা চালায় এবং পুরো রেস্টুরেন্ট তছনছ করে দেয়।
১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন, সন্ত্রাসীরা প্রতিপক্ষের লোকজনকে খুঁজতে এসেছিল। তবে তাদের না পেয়ে এলাকার সাধারণ মানুষকে মারধর করেছে ও দোকানপাট ভাঙচুর করেছে। মানে, যাকে পেয়েছে তাকেই মেরেছে। আহতদের দুইজন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আজম বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আহত পুলিশ কর্মকর্তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।