১০ সেকেন্ডের ছোট্ট এক প্রতিযোগিতা। অথচ এর জন্যই কত অপেক্ষা, কত পরিশ্রম। আদিকাল থেকেই ১০০ মিটার স্প্রিন্ট ইভেন্ট ছিল বিশ্বের দ্রুততম মানব-মানবীর স্বীকৃতি। সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছিলেন উসাইন বোল্ট, আসাফা পাওয়েলদের মতো কিংবদন্তিরা। গতকাল তাদের সঙ্গে যুক্ত হলো যুক্তরাষ্ট্রের নোয়াহ লাইলসের নাম।
বুদাপেস্টে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে নোয়াহ অবশ্য এসেছিলেন অন্যরকম স্বপ্ন নিয়ে। উসাইন বোল্টের পর প্রথম পুরুষ স্প্রিন্টার হিসেবে বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে ২০০ মিটার জয়ের হ্যাটট্রিক করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, ২০০ মিটারের বদলে ১০০ মিটারেই কিনা বাজিমাত করে ফেললেন তিনি! ৯.৮৩ সেকেন্ড নিয়ে প্রথম হয়েই শেষ করলেন ১০০ মিটার স্প্রিন্ট। হলেন বিশ্বের দ্রুততম মানব।
অবশ্য লাইলস এখন চাইলে উসাইন বোল্টের মোট দুই রেকর্ডে ভাগ বসাতে পারেন। ২০০ মিটারে জিতলেই হবে সেই দুই রেকর্ড। উসাইন বোল্টের পরে আর কেউ বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে ১০০ ও ২০০ মিটার স্প্রিন্টের ‘ডাবল’ পাননি। আর ২০০ মিটার জিতলে হ্যাটট্রিকের স্বপ্নটা তো পূরণ হচ্ছেই।
বুদাপেস্টে দিনের শুরুতেও ১০০ মিটার জয়ে ফেভারিট ছিলেন অন্য দুজন। অলিম্পিকের দ্রুততম মানব মার্চেল ইয়াকবস ছাড়াও আলোচনায় ছিলেন ২০২২ সালে ইউজিন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে দ্রুততম মানবের খেতাব পাওয়া ফ্রেড কার্লি। কিন্তু বুদাপেস্টে ঘটল বিষ্ময়। কার্লি কিংবা ইয়াকবস কেউই উঠলেন না ফাইনালে।
লাইমলাইট তখনই চলে যায় লাইলসের উপর। রেস শুরু করেন ৬ নাম্বার লেনে। ১০ সেকেন্ড পর পৃথিবী খুঁজে পেল দ্রুততম মানবকে। রেসের প্রায় পুরোটা সময় পিছিয়েই ছিলেন লাইলস। যুক্তরাষ্ট্রের কোলম্যান স্পষ্ট ব্যবধানেই এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু শেষ ৩০ মিটারে বদলালো চিত্র। নোয়াহ লাইলস ফিনিশিং লাইনে পৌঁছালেন সবার আগে।
৯.৮৩ সেকেন্ড নিয়ে স্বর্ণপদক জিতেছেন লাইলস। বতসোয়ানার জাতীয় রেকর্ড ৯.৮৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে রৌপ্যপদক জিতেছেন লেৎসিলে তেবোগো। আর ফটো ফিনিশে ব্রোঞ্জ পদক নিশ্চিত করেছেন গ্রেট ব্রিটেনের ঝারনেল হিউজ। হিউজ সময় নিয়েছেন ৯.৮৮ সেকেন্ড।