বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আজ আফগানদের মুখোমুখি টাইগাররা

মত ও পথ ডেস্ক

সংগৃহীত ছবি

বিশ্বকাপে মুখোমুখি হওয়ার আগে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান মুখোমুখি হয়েছিলো বেশ কয়েকবার। ওয়ানডেতে সংখ্যা হিসেবে চার ম্যাচ। বাংলাদেশ ঘরের মাঠে আফগাদের বিপক্ষে খেলেছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। এরপর এশিয়া কাপে খেলেছে ১টি ম্যাচ। ফল ২-২ ড্র। অর্থ্যাৎ, ঘরের মাঠে আফগানদের কাছে ২ ম্যাচ হেরেছিলো, জিতেছিলো এক ম্যাচ। আবার এশিয়া কাপের এক ম্যাচেও জয় পেয়েছে টাইগাররা।

এবার সম্ভবত সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ! আক্ষরিক অর্থে ধরে নিলে তেমনটাই। যদিও বিশ্বকাপে দুই দলই আজ নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছে এবং চলতি বছর ওয়ানডেতে এটা পঞ্চমবারের সাক্ষাৎ তাদের। বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে না উঠলে এই বছর আর আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার সুযোগ নেই টাইগারদের।

সুতরাং, সিরিজ নির্ধারণী বলাই যায়। কে জিতবে এই ম্যাচে? স্যাটায়ার করে সিরিজ নির্ধারণী কিংবা যাই বলি না কেন, বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের মাথায় নিশ্চয় এমন কোনো অদ্ভূত চিন্তা নেই। দু’দলেরই এখন সমস্ত চিন্তা-চেতনা এবং পরিকল্পনা ঘিরে বিরাজ করছে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচটা কিভাবে ভালোয় ভালোয় শেষ করা যায়। কিভাবে পূর্ণ ২টি পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপে শুভ সূচনা করা যায়!

এশিয়া কাপের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করলে বাংলাদেশই এগিয়ে। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ৮৯ রানের সেই জয়ে বাংলাদেশ সুপার ফোর নিশ্চিত করে ফেলেছিলো। মেকশিফট ওপেনার হিসেবে মাঠে নেমেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বসেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠে আজ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানদের মুখোমুখি হয়ে কী জয় তুলে নিতে পারবে সাকিব আল হাসানের দল?

মুস্কিল হলো, দুই দলই এখন দুই দল সম্পর্কে বেশ ভালোভাবে জানে। কার শক্তি কোথায়, দুর্বলতা কোথায়- সবই জানে বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান ক্রিকেটাররা। সুতরাং, রণকৌশল সাজাতে গিয়ে নিদেনপক্ষে কারো ভুল হওয়ার কথা নয়।

মাঠের পারফরম্যান্সে বাংলাদেশের মিশ্র অনুভূতি কিছুদিনের মধ্যে। ঘরের মাঠে আফগানদের কাছে ২-১ সিরিজ হেরেছে। এরপর এশিয়া কাপে জয় পেয়েছে মাত্র ২টি ম্যাচে। ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। সর্বশেষ বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে।

এ তো গেলো মাঠের পারফরম্যান্স। এর সঙ্গে বাংলাদেশ দলে মাঠের বাইরের কিছু অপ্রীতিকর বিষয় তো যোগ হয়েছেই। তামিম ইকবালকে নিয়ে যে চূড়ান্ত নাটক মঞ্চস্থ হইছে, তাতে বাংলাদেশ দলে কিছুটা অস্বস্থি এখনও বিরাজ করছে। সেই অস্বস্তি কাটিয়ে কী আজ স্বচ্ছন্দে ফিরতে পারবে সাকিব আল হাসানের দল?

নিশ্চয়ই বিরাট এক চ্যালেঞ্জ। আশা করা যায়, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ভালোই শুরু করতে পারবে টাইগাররা। বিশেষ করে এই দলটিতে রয়েছে অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের একগ্রুপ ক্রিকেটার। তানজিদ হাসান তামিম, তাওহিদ হৃদয়, তানজিম হাসান সাকিব, শরিফুল ইসলাম- এই তরুণ তুর্কিরা মাঠের বাইরের সব সমালোচনা ঝেড়ে ফেলে হয়তো দুর্দান্ত একটি সূচনা একে দেবে বাংলাদেশকে। সে প্রত্যাশায় বাংলাদেশের কোটি ক্রিকেটপ্রেমী।

শেয়ার করুন